বোন মমতার জন্য হাজার কেজি হাড়িভাঙ্গা আম উপহার শেখ হাসিনার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : “আমের (Mango) আমি, আমের তুমি, আম দিয়ে যায় চেনা”। হ্যাঁ, আম দিয়েই যেন নতুন এক “সম্পর্কের” অধ্যায় শুরু করতে চাইলো বাংলাদেশ। চিরকালই ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক ভাই বোনের মত। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে যতবারই সমস্যায় পড়েছে বাংলাদেশ ততোবারই নিজের সবটুকু দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। একটা সময় বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গের অংশ থাকার সুবাদে বাংলার সাথে ওপার বাংলার সম্পর্কটা একটু বেশিই মধুর। সেই মধুর সম্পর্কের বন্ধন হিসেবে প্রতিবছর ইলিশ পাঠিয়ে এপার বাংলার মানুষের রসনা তৃপ্ত করে বাংলাদেশ। এবার সেই রসনায় নতুন মাত্রা যোগ করে প্রচুর পরিমাণ হাড়িভাঙ্গা আম পাঠাল হাসিনা সরকার।

প্রতিবছরই বোন মমতার জন্য আম পাঠান ওপার বাংলার প্রশাসনিক প্রধান হাসিনা। এবারও তার অন্যথা হয়নি। সোমবার বেনাপোল-পেট্রোপোল সীমান্ত দিয়ে হাজার পেটি হাড়িভাঙ্গা আম এসে পৌঁছায় এবার বাংলায়। পেট্রোপোল সীমান্তে বাংলাদেশে সরকারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণচন্দ্র পাল,নাভারন পুলিশের সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলাম, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার তানভীর আহমেদ, বেনাপোল স্থলবন্দরের ডিডি মামুন কবির তরফদার। ভারতের পক্ষ থেকে হাজির ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের ডিআইজি সুকেশ জেল, কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশি দূতাবাসের থার্ড সেক্রেটারি শেখ মারেফাত তরিকুল ইসলাম, প্রটোকল অ্যাসিস্ট্যান্ট আজিজুল আলম ও এসকে ইমাদ।

   

hasina mamata

ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্বকে আরও সুদৃঢ় করতে বরাবরই বিশেষ ভাবে উদ্যোগী দুই দেশের সরকার। সেই বন্ধুত্বের কথা মনে রেখেই কিছুদিন আগে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য আম পাঠিয়ে ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর পর সেই উপহার প্রাপ্তির তালিকা থেকে বাদ পড়েননি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাও। তার জন্যও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পাঠানো হয়েছে ৮০০ কেজি আম্রপালি আম। প্রতিবছর হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে ইলিশ ও আম উপহার দুই দেশের মৈত্রীকে এক নতুন পর্যায়ে নিয়ে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর