বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভিড়ে ঠাসা কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) ১৭ নম্বর এজলাস। সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর দিকে যেন উড়ে আসছে একের পর এক মিসাইল। চোয়াল শক্ত করে কাটা কাটা ভাষায় প্রশ্ন করছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
জন্ম, পড়াশোনা, পেশা— প্রভৃতি জিজ্ঞেস করার সঙ্গেই হঠাৎ জানতে চাইলেন মানিকবাবুর স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব। দিনের শেষে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, মানিকবাবুকে নিজের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী, ছেলে, মেয়েরও (বিয়ের আগের) মোট স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব আদালতে জমা করতে হবে।
বিচারপতি আরও নির্দেশ দেন যে, হিসেব মানিক ভট্টাচার্য জমা দেবেন তা একেবারেই দিতে হবে। একবার হিসেব জমা দেওয়ার পর আর নতুন করে কিছু যোগ করা যাবে না। টেট সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়েছে ৫ জুলাই। আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রুদ্ধদ্বার এজলাসে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলে মানিক ভট্টাচার্যের। তাঁর জন্ম কবে? জন্ম কোথায় তাঁর? পরিবারের কে কে আছেন, তাঁরা কী করেন, যাদবপুরের ফ্ল্যাট ছাড়া আর কোথায় কোথায় জমি বাড়ি আছে—প্রভৃতি একাধিক প্রশ্নে বিদ্ধ হন তিনি।
গতকাল সোমবারই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে মানিক ভট্টাচার্যকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি নির্দেশ দেন এজলাসে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে মানিকবাবুকে। মঙ্গলবার সকালে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেন মানিক। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। ফলে সোমবারের পূর্ব নির্দেশ মতোই এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সশরীরে উপস্থিত হন মানিক ভট্টাচার্য।