দেখলে মনে হবে আস্ত একটা দানব! কম্বোডিয়ায় ধরা পড়ল ৩০০ কেজি ওজনের বিশ্বের বৃহত্তম মাছ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাছের সন্ধান মিলেছে কম্বোডিয়ায়। স্বাদু জলের এই মাছটিকে দেখে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছে সকলের। পাশাপাশি, এই মাছটির ওজন শুনলেও ভিরমি খাবেন যে কেউই। এমতাবস্থায়, মাছটি ধরা পড়তেই হইচই পড়ে গিয়েছে সর্বত্র।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাছের খোঁজ মিলল:
মূলত, জীববিজ্ঞানী জেব হোগান গত ১৭ বছর ধরে স্বাদু জলের অন্তর্গত বিশ্বের বৃহত্তম মাছের সন্ধান করছেন। এমতাবস্থায়, তাঁর এই সম্পর্কিত অনুসন্ধান শেষ হয়েছে গত ১৩ জুন। আর সেখানেই তাঁর দল একটি দৈত্যাকার স্টিংরে ফিশ (Stingray Fish)-এর সন্ধান পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, স্বাদু জলে প্রাপ্ত এই মাছটিকে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় মাছ বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে ২০০৫ সালে এই ধরনের মাছ পাওয়া গিয়েছিল:
জানা গিয়েছে, কম্বোডিয়ার অন্তর্গত মেকং নদীর ঘোলা জল থেকে ধরা এই মাছটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩ ফুট। পাশাপাশি, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এটির ওজন হল ৩০০ কেজি। এর আগে ২০০৫ সালে থাইল্যান্ডে একটি ক্যাটফিশ ধরা পড়েছিল, যা বিশ্বের বৃহত্তম স্বাদু জলের মাছ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু, এবার সেই রেকর্ডকেও ভেঙে দিল এই Stingray। মূলত, ক্যাটফিশের ওজনের চেয়েও এটির ওজন ৬.৮ কেজি বেশি।

এই প্রসঙ্গে ডাঃ হোগান জানিয়েছেন, এটি এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় স্বাদু জলের মাছ। এই প্রজাতির Stingray Fish অত্যন্ত বিপজ্জনক। কারণ, সেগুলির লেজ হয় অত্যন্ত বিষাক্ত। পাশাপাশি, এগুলির লেজের দৈর্ঘ্য হয় এক ফুট। যদিও, এই মাছ মানুষের তেমন কোনো ক্ষতি করেনা বলেও জানা গিয়েছে।

অনন্য আবিষ্কার:
সাধারণত একটি সস্তা প্রোটিনের উৎস হিসাবে এই মাছের চাহিদা বাজারে পরিলক্ষিত হয়। এমতাবস্থায়, ডা: হোগান দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর জলজ বৈচিত্র্য রক্ষার জন্য কাজ করেন। জানা গিয়েছে, প্রথমে এই মাছটির সন্ধান পান জেলেরা। তারপরে তাঁরা হোগানকে খবর দেন। পাশাপাশি, জেলেরাও মেনে নিয়েছেন যে, তাঁরা এত বড় মাছ আজ পর্যন্ত কেউ দেখেননি।

125539215 dji 0246sinsamoutounboundisane fishbio 62b1aa0dc72a3

শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে, এই মাছ ধরা পড়ার আগেও আরেকটি বড় Stingray-র সন্ধান পেয়েছিলেন জেলেরা। যদিও, পরবর্তীকালে সেটি ধরার পরে দেখা যায় তার ওজন ছিল ১৮১ কেজি। এই প্রসঙ্গে ডাঃ হোগান বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম স্বাদু জলের মাছ মেকং-এর মত নদীতে দেখতে পাওয়া সত্যিই এক অনন্য আবিষ্কার।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর