বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এদিন ভোর হওয়ার পূর্বেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান। কম্পনের তীব্রতা এতটাই বেশি হয় যে, মুহূর্তের মধ্যে তছনছ হয়ে যায় দেশের এক বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটার স্কেলে 6.1 তীব্রতার এই ভূমিকম্পের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয় আফগানবাসী। আপাতত সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, ভয়াবহ এই দুর্যোগের কারণে এক হাজারের অধিক মানুষ নিহত হয়েছেন, যেখানে আহতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন আফগানিস্তানের পূর্ব অংশে শক্তিশালী ভূমিকম্প ঘটে। এই ভূমিকম্পের প্রভাবে আফগানিস্তান সহ প্রতিবেশী পাকিস্তান দেশটিও কেঁপে ওঠে। এমনকি, এর প্রভাব এসে পড়ে সুদূর ভারতেও। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে এক হাজারের ওপর মানুষ নিহত হয়েছেন, একইসঙ্গে জখম হয়েছে দুই হাজারের বেশি আফগানবাসী। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা 6.1 বলে খবর।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল আফগানিস্তানের খোস্ত শহর থেকে 44 কিলোমিটার দূরবর্তী একটি স্থান। স্বভাবতই, এর ফলে খোস্ত এবং পার্শ্ববর্তী নানগড়হার এলাকাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং বহু মানুষ প্রাণ হারান। ভূমিকম্পের কিছু মুহূর্ত মধ্যেই তালিবান প্রশাসনের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর প্রধান মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে পাকতিকা প্রদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে মানুষ। এখানে বহু মানুষ নিহত হয়েছেন এবং আহতর সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।”
এদিনের ভূমিকম্পে আফগানিস্থান ছাড়াও পাকিস্তানের ইসলামাবাদ সহ ভারতের কিছু স্থানেও কম্পন অনুভূত হয়। গোটা দেশে যখন কম্পন অনুভূত হয়, সেই সময় অধিক মানুষ ঘুমে আচ্ছন্ন থাকার কারণে তারা বাঁচার কোন রকম চেষ্টা করতে পারেননি বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে আর এই কারণেই মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে তালিবান সরকার।
উল্লেখ্য, গতকাল গভীর রাতে ভূমিকম্পের সাক্ষী থাকে পাকিস্তান এবং মালয়েশিয়া। রাত 2 টো 24 মিনিট নাগাদ কেঁপে ওঠে পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা। তবে রিখটার স্কেলে 6.1 মাত্রা থাকলেও বড়সড় কোনো ক্ষতি হয়নি সেখানে। অপরদিকে, মালয়েশিয়াতেও রাতের দিকে কম্পন অনুভূত হয় বলে জানা গিয়েছে।