বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভাল সময় অস্তগত অক্ষয় কুমারের (Akshay Kumar)। বছরে একাধিক ছবিতে অভিনয় করলেও একটাও হিট ছবি উপহার দিতে পারেননি তিনি দর্শকদের। ‘অতরঙ্গি রে’ ফ্লপ হওয়ার পর ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’ও (Samrat Prithviraj) মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিরাট বাজেটে ছবি তৈরি হলেও বক্স অফিসে নাম মাত্র টাকার ব্যবসা করেছে এই ছবি। এবার ব্যর্থতার দায় অক্ষয়ের ঘাড়ে চাপালেন ছবির নির্মাতারা।
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ছবির প্রযোজক যশ রাজ ফিল্মসের সর্বেসর্বা আদিত্য চোপড়া নাকি ছবর ব্যর্থতা দেখে ক্ষেপে আগুন। এর জন্য অক্ষয়কেই দায়ী করেছেন তিনি। আদিত্য চোপড়ার ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, প্রযোজক নাকি অক্ষয়ের বিরুদ্ধে অপেশাদারিত্বের অভিযোগ এনেছেন।
পৃথ্বীরাজ ছবিটির জন্য নিবেদিত মনোযোগের দরকার ছিল। সেটা অক্ষয়ের একেবারেই ছিল না। চরিত্রটির বাহ্যিক রূপে আরেকটু বাস্তবতা আনার জন্য অভিনেতাকে গোঁফ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু রাজি হননি অক্ষয়। কারণ তিনি একসঙ্গে একাধিক ছবি হাতে নিয়ে রেখেছেন। আদিত্য নাকি প্রশ্ন করেছেন, “পৃথ্বীরাজের মতো ঐতিহাসিক একটি চরিত্রে অভিনয়ে সেরাটা দেওয়ার জন্য কি অন্য প্রোজেক্টগুলো বন্ধ রাখতে পারতেন না?”
উল্লেখ্য, প্রায় ২০০ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি হয়েছে সম্রাট পৃথ্বীরাজ। অথচ বক্স অফিসে ছবিটি তুলতে পেরেছে ৮০ কোটির কাছাকাছি। বিশাল মাপে তৈরি করা হয়েছিল ছবিটি। কিন্তু দর্শকরা দেখলেনই না। সমস্যাটা কোথায় হল সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না পরিচালক।
সম্রাট পৃথ্বীরাজ মুক্তির আগে একাধিক বিতর্কের সম্মুখীনও হয়েছিল। তার মধ্যে অন্যতম নায়ক নায়িকার মধ্যে বয়সের পার্থক্য। সম্রাট পৃথ্বীরাজ অর্থাৎ অক্ষয় কুমারের তুলনায় তাঁর স্ত্রী সংযুক্তার চরিত্রাভিনেত্রী মনুষী ছিল্লর ৩০ বছরের ছোট।
যদিও এই বিতর্ক নিয়েও নিজস্ব মতামত দিয়েছেন পরিচালক। তাঁর যুক্তি, ভারতীয় টেলিভিশন শো গুলিতে কখনোই অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে ঐতিহাসিক চরিত্রগুলি মেলেনি। যারা কৃষ্ণের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তারা সকলেই ফর্সা ছিলেন। অথচ শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন শ্যামবর্ণ। আকবরের সঙ্গেও চরিত্রাভিনেতার বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য মেলেনি। কিন্তু এর জন্য কোনো ছবির উপরে ক্ষোভ দেখানো উচিত নয়।