বাংলাহান্ট ডেস্ক : কিছুদিন আগেই ভোটের প্রচারে অভিষেক ত্রিপুরা রওনা দেওয়ার পরেই তার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। এবার সিবিআইয়ের পর কয়লাপাচার-কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আজ বৃহস্পতিবারই সিজিও কমপ্লেক্সে রুজিরাকে তলব করা হয়েছে জানা যাচ্ছে। এই তলবকে ঘিরে যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য কড়া নিরাপত্তায় ঢেকে ফেলা হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্স চত্বর। একমাত্র পরিচয়পত্র দেখে তবেই দেওয়া হচ্ছে ঢোকার অনুমতি ।
সূত্রে খবর, বুধবারই ইডির তরফ থেকে নোটিস পাঠানো হয় রুজিরাকে। আজ তাঁকে উপস্থিত হতে নির্দেশ দিয়েছে ইডি। আজই জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা আছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। কার্যত দুর্গ বানিয়ে নিরাপত্তা মারাত্মক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সে। এমনকি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মূল দরজাও। বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড।
মাত্র কিছুদিন আগেই অভিষেকের বাড়ি ‘শান্তিনিকেতন’-এ হানা দেয় সিবিআই। অভিষেকের বাড়িতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রুজিরাকে। সেদিন প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে।
কয়লাপাচার-কাণ্ডে এর আগেও বেশ কয়েক বার অভিষেক এবং রুজিরাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় ইডি। অভিষেক দু’বার উপস্থিতি হন ইডি দফতরে। কিন্তু রুজিরা একবারও যাননি। তিনি দাবি করেন তাঁর দু’বছরের পুত্র সন্তানকে কলকাতায় রেখে দিল্লি যাওয়া তাঁর পক্ষে কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। তদন্তকারী আধিকারিকরা কলকাতায় ডাকলে তবেই তিনি হাজির হতে পারবেন। কিন্তু নাছোড়বান্দা ইডি। তারা পরিষ্কার জানিয়ে দেয় দিল্লিতে গিয়েই হাজিরা দিতে হবে রুজিরাকে।
এই বিষয় নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হন অভিষেক এবং রুজিরা। শীর্ষ আদালতে আপিল করে তাঁরা বলেন, কলকাতায় দায়ের হওয়া মামলার তলব দিল্লিতে কেন? এগুলো শুধুমাত্র রাজনৈতিক হেনস্থার জন্য করা হচ্ছে। অভিষেক-রুজিরা বলেন, কলকাতাতে ইডি-র তো অনেক অফিস রয়েছে। সেখানে দশ বার ডাকলে দশ বারই তাঁরা যেতে পারবেন। কিন্তু দিল্লিতে আসা কোনও ভাবেই তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।
অভিষেকদের ওই আর্জিতে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, ইডি-কে জেরা করতে হলে কলকাতাতেই তা করতে হবে। দিল্লি ডাকা যাবে না। অভিষেক ও রুজিরাকেও তদন্তের স্বার্থে সবরকম সাহায্য করতে হবে। তারপর রুজিরাকে এই প্রথম কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করল ইডি।