ডোবালেও ডুবছেনা, গঙ্গার জলে দেখা মিলল রহস্যময় পাথরের! হইচই শ্রীরামপুরে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাধারণত, জলাশয়ে কোনো পাথর নিক্ষেপ করলেই সঙ্গে সঙ্গে তা ডুবে যায়। অন্তত এই দৃশ্য দেখতেই অভ্যস্ত আমরা। কিন্তু, শুক্রবার সকালে এক অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী থাকল শ্রীরামপুরের রায়ঘাট। কারণ, সেখানে গঙ্গার জলে আস্ত পাথরকে অবলীলায় ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয় মানুষ। আর যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে সকলের। এদিকে, স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

ঠিক কি ঘটেছে?
জানা গিয়েছে যে, শুক্রবার রায়ঘাটের গঙ্গায় স্নান করতে নেমে ভাসমান পাথর দেখতে পায় স্থানীয় দুই নাবালক। তারপরেই তারা এই অদ্ভুত কান্ড দেখে বিষয়টি সবাইকে জানায়। এহেন “অলৌকিক” ঘটনার সাক্ষী থাকতে মুহূর্তের মধ্যে ওই গঙ্গার ঘাটে ভিড় করেন এলাকাবাসীরা। শুধু তাই নয়, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিষয়ও উপস্থাপিত হতে থাকে। অনেকেই বলতে থাকেন যে, রামায়ণে বর্ণিত সেতুবন্ধনের সময়ে যে ভাসমান পাথরের উল্লেখ রয়েছে ঠিক সেইরকমই এক পাথর এবার উপস্থিত হয়েছে গঙ্গায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন সকালে দুই নাবালক গঙ্গার ধারে খেলছিল। তখনই বেশ কয়েকজন দেখেন যে, দু’টি বড় বড় কালো ভাসমান পাথরকে নিয়ে খেলছে তারা। এমনকি, সেগুলিকে বারংবার জলে ডুবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও সমানে ভেসে রয়েছে পাথরগুলি। এরপরই সেখানে ভিড় জমান সকলে। পাশাপাশি, এই ঘটনাটিকে “অলৌকিক” বলেও দাবি করেন অধিকাংশজন। পাশাপাশি, রামায়ণের প্রসঙ্গ টেনে পাথরগুলিকে প্রণামও করেন অনেকে।

যদিও, এই বিষ্ময়কর ঘটনাকে “অলৌকিক” তকমা দিতে নারাজ পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য চন্দন দেবনাথ। তিনি বলেন যে, পাথর জলে ভাসতে পারেনা। কিন্তু, আয়তনের বিচারে বড় হলে বিভিন্ন ভারী বস্তুও জলে ভাসতে পারে। যার উদাহরণ হল জাহাজ। তবে, এক্ষেত্রে এমনও হতে পারে যে, কোনো সময় থার্মোকলের ওপরে সিমেন্ট দিয়ে ওই ধরনের ব্লক তৈরি করা হয়েছিল। যা পরবর্তীকালে গঙ্গার স্রোতে ভেসে চলে আসে।

Srirampur

এছাড়াও, তিনি জানান যে, ঝামা ইটও অনেক সময় জলে ভাসে কারণ সেগুলির মধ্যে অসংখ্য ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে। পাশাপাশি, নানা প্রদর্শনীতে কর্পূরকেও রঙ করে পাথরের মত করে তৈরি করা হয়। যেগুলিকে ভাঙলে ইটের গুঁড়োর মত দেখতে হয়। যদিও, এই বৈজ্ঞানিক তত্বকে পাশে সরিয়ে রেখেই এখন ওই আশ্চর্যজনক পাথরের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন সকলেই। এছাড়াও, পরম ভক্তিতে রামসেতুর পাথরের প্রসঙ্গই উপস্থাপিত করছেন অধিকাংশজন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর