জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু শিশুর! তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের দিকে আঙুল তুললেন কাউন্সিলর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের খোলা তারে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর অভিযোগ উঠল কলকাতায়। জলমগ্ন সাড়া রাস্তা, সেই রাস্তা দিয়েই গৃহ শিক্ষকের বাড়ি যাওয়ার পথে ঘটলো দুর্ঘটনা। ল্যাম্পপোস্টে হাত দিতেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হলো এক কিশোরের। জানা গিয়েছে মৃত কিশোরের নাম নিতিশ যাদব। ঘটনার পর প্রায় আধঘণ্টা জলের মধ্যে পড়ে থাকে সেই কিশোর। এরপর বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার পর পুরসভার ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় গত দু’দিন ধরে জল জমে ছিল। কিন্তু এই দুর্ঘটনার পর হঠাৎ করে মাত্র দুই ঘন্টায় সেই জল নেমে যায়। এলাকার কাউন্সিলর রত্না সুর প্রশ্ন তোলেন কোন জাদু কাঠিতে এরকমভাবে জল নেমে গেল? ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রত্না দেবী সরাসরি তৃণমূল পরিচালিত নিকাশি বিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছেন, “দীর্ঘদিন ধরে জল জমার সমস্যায় ভুগছেন এই এলাকার মানুষ। বহুবার নিকাশি দফতরকে বলেও কোন কাজ হয়নি। প্রশাসন কি কাজ করছে ওখানে জানিনা। নিকাশ এর অবস্থা ওখানে বেহাল। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”

প্রসঙ্গত গত রবিবার গৃহশিক্ষকের বাড়িতে পড়তে যাচ্ছিল ১২ বছরের নিতিশ যাদব। হরিদেবপুর এর বাসিন্দা নিতিশ। কিছুদিনের বৃষ্টিতে জল জমে ছিল ওই রাস্তায়। ধীরে ধীরে সেই জল ঠেলে ঠেলে এগোচ্ছিল সে। কিছুদূর গিয়ে তার পা আটকে যায়। পা দেখার জন্য সে একটি বাতি স্তম্ভের উপর হাত রাখে। তৎক্ষণাৎ সে ছিটকে পড়ে জলের মধ্যে। গোটা ঘটনাটাই সিসিটিভিতে বন্দি হয়েছে।

ছেলের মৃত্যুতে কাতর মা বলেন, “ওকে মাস্টারের কাছে পড়তে পাঠিয়েছিলাম। রাস্তায় যে জল জমে আছে জানিনা। কিছুক্ষণ পর সবাই বলতে থাকে সামনে একজন শক খেয়ে পড়ে আছে। আমার তো শুনেই হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেছে। ছুটে গিয়ে দেখি ওখানে আমার ছেলে পড়ে আছে। ঘটনার প্রায় এক ঘন্টা পর বিদ্যুৎ বন্ধ করা হয়েছে। তখন ছেলে বেঁচে ছিল না মরে গেছে তাও জানতাম না”।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর