বাংলা হান্ট ডেস্ক: গান্ধীজিই নাকি খুন করিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে। এমনই মন্তব্য করলেন রাজস্থানের বিজেপি সাংসদ নরেন্দ্র কুমার খীচড়। এই মন্তব্যে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে নেট দুনিয়ায়। ভাইরাল হয়েছে এই বক্তব্যের ভিডিও।
কী ঘটেছিল ঘটনা?
জানা যাচ্ছে, নরেন্দ্র খীচড় ২৫ জুন বাকরা গ্রামের স্বাধীনতা সংগ্রামী শৌলাল খীচড়ের মূর্তি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির হন। সেখানেই বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘সুভাষচন্দ্র বসুর হত্যা গান্ধীজির আদেশেই হয়। প্রধানমন্ত্রী যেকোনও একজনই হতেন। তাই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য সুভাষকে রাজি করিয়ে নিলেও পরে নেতাজিকে খুন করান গান্ধী। রাজা-মহারাজদের সময় থেকে এই খুনের প্রথা চলে আসছে।’
খীচড়-এর এই মন্তব্যে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়ে যায় দেশ জুড়ে। বিপদ বুঝে নিজের বক্তব্যের সাফাই দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমার কথার অর্থ ওটা ছিলনা। আমি বলতে চেয়েছিলাম স্বাধীনতার পর ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেতাজির হওয়া উচিত ছিল। গান্ধীজি চাইলে তাই হতো। গান্ধীজি নেতাজিকে রাজনৈতিক ভাবে হত্যা করেছেন।
নরেন্দ্র কুমার খীচড়ের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন কংগ্রেস নেতা ও পূর্ব সাংসদ ভরত সিংহ। তিনি সোজা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি লিখে বসেন। তিনি লেখেন এই রকম অপমানজনক কথা বলার জন্য নরেন্দ্র খীচড়ের সাংসদ পদ বরখাস্ত করা হোক। ভরত সিংহ দাবি করেন খীচড়ের বিরুদ্ধে যেন দেশদ্রোহীতার মামলা চালানো হয়। এবং এটাই দেশের উপকার হবে বলে তিনি মনে করেন। তবে এই বিষয়ে বিজেপি বা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় স্তর থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি বলেই জানা যাচ্ছে।