ছয়ের মধ্যে দুটি আসন বিরোধী শিবিরে যেতেই কবিতা লিখলেন দেবাংশু

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত বেশ কিছু সময় ধরে বঙ্গ রাজনীতিতে বেশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। ‘খেলা হবে’ থেকে শুরু করে বিরোধীদের একের পর এক আক্রমণ মাঝে সর্বদাই রাজনীতির হট লিস্টে বিরাজ করেন দেবাংশু। সেই রেকর্ড বজায় রেখে এদিনও উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার সাথে সাথেই বিরোধীদের একযোগে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র।

উল্লেখ্য, এদিন বাংলার মোট ছয়টি উপনির্বাচন কেন্দ্রেএ মধ্যে তৃণমূলের দখলে যায় চারটি এবং একটি করে উপনির্বাচন কেন্দ্র নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় সিপিএম এবং কংগ্রেস। তবে বিজেপির ভাঁড়ার থাকে শূন্য। দমদম, উত্তর দমদম, ভাটপাড়া এবং পানিহাটিতে তৃণমূল খুব সহজেই জয়লাভ করে। তবে অপরদিকে, ঝালদা এবং চন্দননগর কেন্দ্র নিজেদের দখলে নেয় বাম ও কংগ্রেস প্রার্থীরা। এক্ষেত্রে ঝালদা পুরসভা থেকে জয়ী হন মৃত কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু এবং চন্দননগর থেকে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে 32 বছর পর জয়ের মুখ দেখেন বাম নেতা অশোক গঙ্গোপাধ্যায়।

ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরই এদিন আসরে নামেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। বিরোধীদের শুভেচ্ছাবার্তা দিলেও একইসঙ্গে কটাক্ষ করেন তিনি। দেবাংশু লেখেন, “ঝালদায় কংগ্রেস চন্দনে বাম, মুখে আর এনো নাকো ছাপ্পার নাম/ জিতেছো আবির খেলো মুখ ফুটে বোলো, মমতার পুলিশেই ভোট হয়েছিল।”

এক্ষেত্রে বিরোধীদের আবির খেলার পরামর্শ দিলেও পরমুহূর্তেই আক্রমণ শানান তৃণমূল নেতা। আসলে, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের পিছনে ছাপ্পা ভোটকেই ‘কারণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে আসে সকল বিরোধী দলগুলি। এমনকি, বঙ্গ পুলিশের পরিবর্তে কেন্দ্র বাহিনী দ্বারাও ভোট করানোর দাবি তোলে তারা। এদিন সেই দাবিকেই একপ্রকার ঘুরিয়ে কটাক্ষ করেন দেবাংশু।

প্রসঙ্গত, এদিন ঝালদা পুরসভায় মোট 1179 টি ভোটের মধ্যে কংগ্রেস প্রার্থী মিঠুন কান্দুর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা দাঁড়ায় 930। অপরদিকে, চন্দননগর 17 নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে 130 ভোটে হারিয়ে জয়ী হন সিপিএম নেতা অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। অপর চারটি কেন্দ্র অবশ্য যায় তৃণমূলের দখলে।

সম্পর্কিত খবর

X