বাংলাহান্ট ডেস্ক : উদয়পুরের দর্জি কানহাইয়ালালের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে উত্তপ্ত দেশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর (Home Ministry) তদন্তের ভার তুলে দেয় এনআইএ (NIA)-এর হাতে। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক তদন্ত করে মামলা দায়ের করলো এনআইএ। অপর দিকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত (Ashok Gehlot) আজ সন্ধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করেছেন বলে সূত্রের খবর।
ঘটনায় কি পাকিস্তান যোগ?
নৃশংস এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ অশোক গহলৌত উঁচুস্তরের আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন বলে জানা যাচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে মূলত আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করতেই এই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানো হয়েছে। তবে পুলিশের অনুমান দুই দুষ্কৃতির সঙ্গে বাইরের কোনও দেশের যোগাযোগ থাকা সম্ভব। এবং সেই বাইরের দেশ খুব সম্ভবত পাকিস্তান বলেই মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী জানান, দুই দুষ্কৃতির বিরুদ্ধে ইউপিএ-এর ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পরবর্তী তদন্ত এনআইএ করবে বলে জানান তিনি। এছাড়াও, মুখ্যমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেন, যে পাঁচ পুলিশকর্মী দুই অপরাধীকে পাকড়াও করেছে তাঁদের পদন্নোতির ব্যবস্থাও করা হবে।
মোদি-শাহের উচিত সামনে আসা
উদয়পুরের (Udaipur Beheaded Case) ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মল্লিকার্জুন খাগড়ে। এরই সঙ্গে তিনি আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উচিত নীরবতা ভঙ্গ করা। এই পরিস্থিতিতে মানুষ শান্ত থাকতে বলা উচিত তাদের। খাগড়ে আরও বলেন, শুধু রাজস্থান নয়, উত্তরপ্রদেশ আসামের এই ঘটনা সামনে এসেছে। দেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে ঠান্ডা করতে মোদি ও অমিত শাহের সামনে আসা উচিত।
নজরে কি মাদ্রাসাও?
উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে বড়ো দাবি করলেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান (Arif Md. Khan)। তিনি বলেন মাদ্রাসায় কী পড়াশুনা হয় সে ব্যাপারে সরকারের নজর রাখা উচিত। তিনি আরও বলেন, মাদ্রাসায় সেখানো হয় আল্লাহর নিন্দার একমাত্র শাস্তি মাথা কেটে নেওয়া। এই অসুখের লক্ষ্মণ বহু আগে থেকেই দেখা যায়, কিন্তু আমরা তা এড়িয়ে যাই। আর তার চূড়ান্ত ফল হলো উদয়পুরের হিংসাত্মক ঘটনা।