দেশদ্রোহী-সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়ে শারজিল ইমামকে তিহার জেলে গণপিটুনি! আদালতে গেল মামলা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২০২০ সালে দিল্লি দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়ায় অভিযুক্ত জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শারজিল ইমাম তার উপর হামলার অভিযোগ এনেছে তিহার জেলের বিরুদ্ধে।কারকড়ডুমা আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করে শারজিল জানিয়েছেন যে, তার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ। তল্লাশির নামে তার উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। এরই সঙ্গে তিনি জানান তাকে দেশদ্রোহী ও সন্ত্রাসবাদী বলেও আখ্যায়িত করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত গত আড়াই বছর ধরে তিহার জেলে রয়েছেন শারজিল। এই প্রথম তার বিরুদ্ধে লাঞ্ছনার অভিযোগ আনলেন তিনি। শারজিলের আইনজীবী আহমেদ ইব্রাহিম আদালতে জানিয়েছেন, “কারাগারের অন্য কয়েদিরা শারজিলের ওপর হামলা চালায়। তার বই ও জামাকাপড়ও ফেলে দেওয়া হয়। শারজিল প্রতিবাদ করলে তাকে দেশদ্রোহী ও সন্ত্রাসী বলা হয়। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করেছেন আগামী ১৪ জুলাই এ বিষয়ে শুনানি হবে।”

আবেদনে কারাগারের ভেতরের এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ নিরাপদে রাখার দাবি জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, পিটিশনে বলা হয়েছে যে ৩০ জুন সন্ধ্যা ৭.১৫ থেকে ৮.৩০ মিনিটের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া এই ‘বেআইনি হামলা ও তল্লাশির’ জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারির দাবি জানানো হয়েছে। আইনজীবী জানান, বিচারক নোটিশ জারি করেছেন। আগামী ১৪ জুলাই এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ।

৪ জুলাই সোমবার কারকড়ডুমা আদালতে হাজির হন শারজিল। তার আইনজীবী জানান, আদালতে শারজিলের সঙ্গে দেখা হলে তিনি ঘটনাটি জানান। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের মতে, আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, “সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট (কারাগার) ৮-৯ জন বন্দী নিয়ে শারজিলের সেলে এসে তল্লাশির নামে অবৈধভাবে তল্লাশি চালায়। শারজিলের ওপর হামলা করা হয়। পুরো ঘটনার সময় সহকারী সুপার সেখানে উপস্থিত ছিলেন।”

Sharjeel Imam 1

এই ঘটনায় এক সিনিয়র জেল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “আমরা ঘটনার বিষয়ে তথ্য পেয়েছি। আমরা এটির তদন্ত করব। আমরা কারা কর্মকর্তা এবং বন্দীদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি তদন্ত করছি। আমাদের সিসিটিভি ফুটেজ সুরক্ষিত রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আমরা ফুটেজ রাখব।”

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর