প্রাথমিকে চাকরির সুপারিশ করেন একাধিক তৃণমূল বিধায়ক, আদালতে জমা পড়ল নাম সহ নথি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একের পর এক চমক আসছে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়। প্রাইমারিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিলেন নাকি শাসকদলের বিধায়করাই। এমনই দাবি করেছিলেন এক মামলাকারী। এবার প্রমাণ হিসাবে সেই সুপারিশের চিঠিই জমা পড়ল কলকাতা উচ্চআদালতে।

কোন কোন বিধায়ক জড়িত?

২০১৮ সালের টেট পরীক্ষার পর প্রাথমিকে নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছিলেন স্বয়ং তৃণমূল বিধায়করাই। সেই দাবিকে প্রমাণ করতে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে সেই সমস্ত সুপারিশের চিঠি জমা দেন মামলাকারীর আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।

মামলাকারীর দাবি করেন ওইসব সুপারিশের চিঠিতে চাকরির জন্য সুপারিশ করেন রাজ্যের বর্তামান মন্ত্রী অখিল গিরি, বিধায়ক অসীম মাঝি ও  মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায়। এমনকি নিজেদের বিধায়কের লেটারহেডেই তাঁরা বহু প্রার্থীর চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিলেন। আজ সেইসব সুপারিশের চিঠিই তুলে দেওয়া হলো আদালতের হাতে।

বাম আমলেও হয়েছে লেটার হেডে নিয়োগ

সম্প্রতি বাম আমলে সিপিএমের লেটার হেডে চাকরির সুপারিশ ভাইরাল হয়েছিল নেট দুনিয়ায়। সেখানে দেখা গিয়েছে, পুরনো একটি প্যাডের কাগজের উপরে লাল রঙে ছাপানো, ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) পাচরা লোকাল কমিটি। চিঠিটি ২০০৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর কমরেড খগেন্দ্রনাথ মাহাতোর উদ্দেশে লেখা হয়েছে।

সেখানে লেখা, ‘কমরেড, আমি শ্রী মোহিতলাল হাজরা গ্রাম পালজাগুল পোস্ট জাগুল জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর জানি ও চিনি। খুব দুঃস্থ পরিবারের ছেলে। বামপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। একে আপনার কাছে পাঠালাম। ধেড়ুয়া অঞ্চল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গ্রুপ–ডি পদে যে লোক নেওয়া হবে, সেখানে যাতে একে নেওয়া যায়, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি। পরে আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নেব।’ চিঠির নীচে নাম লেখা জয়জীম আহাম্মদ। এই চিঠি নিয়েও বেশ হইচই হয়েছিল কয়েকদিন আগে পর্যন্তও। এবার তৃণমূলের লেটার হেডে চাকরির সুপারিশ সবায়ের সামনে এলো।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর