একুশে জুলাইয়ের আগে তৃণমূলে ভাঙন, নন্দীগ্রামে একাধিক নেতা-কর্মী যোগী দিলেন বিজেপিতে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি (Bharatiya Janata Party) দল ছেড়ে একের পর এক নেতা ক্রমাগত শাসক দলে যোগদান করে চলেছেন। মুকুল রায় (Mukul Roy) থেকে শুরু করে অর্জুন সিং (Arjun Singh)-এর মত নেতারাও বর্তমানে পদ্ম ফুলের হাত ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করেছেন। সামনে একুশে জুলাই উপলক্ষ্যে এ সকল হাতিয়ারকে সামনে রেখে যখন বিজেপিকে কোণঠাসা করে দেওয়ার পথে অগ্রসর হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ঘটল এক উলট পুরাণ!

জানা গিয়েছে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এলাকায় শাসকদল ছেড়ে বর্তমানে বিজেপিতে যোগদান করলেন একাধিক দলীয় কর্মী। গতকাল পূর্ব মেদনীপুরের পটাশপুর-১ এলাকায় বিজেপি একটি কার্যকরী সভার আয়োজন করে। সূত্রের খবর, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস দলের মোট ৩০ জন কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই ঘটনাটি বেশ আশ্চর্যজনক বলে মনে করা হচ্ছে।

গতকাল বিজেপি নেতা দক্ষিণ মণ্ডলের উদ্যোগে একটি সভার আয়োজন করে বিজেপি এবং সেই সভা চলাকালে তৃণমূল কংগ্রেসের ৩০ জন কর্মী পদ্মফুল শিবিরে যোগদান করেন। এই এলাকায় অতীতে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ছিলেন অমলেন্দু বেরা। ফলে বিজেপি দলে এই যোগদান তাঁর নেতৃত্বেই হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে অমলেন্দু বেরা বিশেষ কোন মন্তব্য করতে চাননি। তবে যে মুহূর্তে রাজ্যে বিজেপির অবস্থা ক্রমশে তলানি থেকে ঠেকেছে, সেখানে এই যোগদানের কারণ ক্রমশ ধোঁয়াশার সৃষ্টি করে চলেছে।

jpg 20220711 132318 0000

তবে ভারতীয় জনতা পার্টির দাবি, সাম্প্রতিককালে যেভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে অনেকেই শাসকদল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার কথা ভেবে চলেছেন। যদিও বিজেপির এ সকল দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। এলাকার তৃণমূল ব্লক সভাপতি জানান, “এগুলি আমাদেরকে বদনাম করার চক্রান্ত। মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে রয়েছে এবং থাকবে।”


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর