বাংলা হান্ট ডেস্ক: স্বাধীনতার পর থেকেই ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে এমন কিছু রাজনৈতিক নেতার (Political Leader) উপস্থিতি আমরা লক্ষ্য করেছি যাঁদেরকে অনুসরণ করেন লক্ষ লক্ষ দেশবাসী। শুধু তাই নয়, তাঁদের সমস্ত কথা এবং নির্দেশ মেনে চলেন অনুরাগীরা। এমতাবস্থায়, সেই সব রাজনৈতিক নেতৃত্বরাও কিন্তু, পালন করেন তাঁদের গুরুর পরামর্শ। আর এভাবেই তাঁরা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন নিজেদের জীবন। বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করছি।
ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গুরু হলেন স্বামী আত্মস্থানন্দ মহারাজ:
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সভাপতি স্বামী আত্মস্থানন্দ মহারাজকে তাঁর গুরু হিসেবে অভিহিত করেছেন। ২০১৭ সালে স্বামী আত্মস্থানন্দের মৃত্যুর পরে প্রধানমন্ত্রী মোদী একটি আবেগঘন বার্তা পোস্ট করেছিলেন। যেখানে তিনি লিখেছিলেন, “আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমি তাঁর সঙ্গে ছিলাম”।
যোগী আদিত্যনাথকে দীক্ষা দিয়েছিলেন মহন্ত অবৈদ্যনাথ:
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা গোরক্ষনাথ মন্দিরের পীঠাধীশ্বর যোগী আদিত্যনাথের গুরুর নাম হল মহন্ত অবৈদ্যনাথ। উল্লেখ্য যে, যোগীর আগে অবৈদ্যনাথই ছিলেন গোরক্ষপীঠের পীঠাধীশ্বর। অবৈদ্যনাথের কাছ থেকেই দীক্ষা দিয়েছিলেন যোগী। শুধু তাই নয়, তাঁরই নির্দেশে, আদিত্যনাথ ১৯৯৮ সালে গোরখপুর থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয়ী হন। মহন্ত অবৈদ্যনাথ ২০১৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পরলোকগমন করেন।
গুরু গোলওয়ালকরের পথে হাঁটেন অটল বিহারী বাজপেয়ী:
ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক মাধব সদাশিব গোলওয়ালকরের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত ছিলেন। এছাড়াও, দীনদয়াল উপাধ্যায় ও শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকেও রাজনীতি ও জনসেবার শিক্ষা নিয়েছিলেন বাজপেয়ী।
মহাত্মা গান্ধী ছিলেন নেহেরুর রাজনৈতিক গুরু:
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু তাঁর পিতা মতিলালের কাছ থেকে রাজনৈতিক উত্তরাধিকার পেয়েছিলেন। তবে, তাঁর প্রকৃত রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হলেন মহাত্মা গান্ধী। এমনকি, মহাত্মা নিজেই নেহেরুকে তাঁর রাজনৈতিক উত্তরসূরি হিসেবে ঘোষণা করেন।
গুরু ধীরেন্দ্র ব্রহ্মচারী, যিনি যোগব্যায়াম শিখিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধীকে:
যোগ গুরু ধীরেন্দ্র ব্রহ্মচারী ষাট এবং সত্তরের দশকে দেশের অন্যতম বড় ব্যক্তিত্বদের যোগব্যায়াম শিখিয়েছিলেন। পাশাপাশি, তিনি প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীরও যোগগুরু ছিলেন। তিনি আগে তিন মূর্তি ভবনে ইন্দিরা গান্ধীকে যোগের সূক্ষ্মতা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতেন। পরবর্তী সময়ে, তিনি ইন্দিরা গান্ধীর উপদেষ্টার ভূমিকায় আসেন। যোগগুরু ধীরেন্দ্র ব্রহ্মচারী প্রায় প্রতিদিনই যোগের জন্য ইন্দিরা গান্ধীর কাছে যেতেন। পাশাপাশি, তাঁর শিষ্য বাল মুকুন্দও যেতেন ১, সফদরজং রোডে।