বাংলাহান্ট ডেস্ক : কথায় আছে, কারোর পৌষ মাস কারো সর্বনাশ। শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধনের পর থেকেই তেমনটাই দশা হয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ ও শিয়ালদহ স্টেশন সংলগ্ন অটোচালকদের। বৃহস্পতিবার থেকে মেট্রো চাকা গড়াতেই কলকাতা মেট্রো রেলের আধিকারিকদের মুখে হাসি ফুটলেও রীতিমতো কপালে ভাঁজ পড়েছে শিয়ালদহ-বেলেঘাটা রুটের অটো চালকদের। মেট্রো শুরু হওয়ায় বেশিরভাগ যাত্রী অটোর পথ এড়িয়ে যেতেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন অটোচালকরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিয়ালদহ থেকে মূলত অটো চলাচলের জন্য রুট রয়েছে আটটি। শিয়ালদহ-ধাপা, শিয়ালদহ-বৈশালী, শিয়ালদহ-এন্টালি, শিয়ালদহ-পটারি রোড, শিয়ালদহ-বেলেঘাটা বাইপাস (বিল্ডিং মোড়), শিয়ালদহ-তপসিয়া, শিয়ালদহ-বামনঘাটা এবং শিয়ালদহ-মেট্রোপলিটন। সব মিলিয়ে সেখানে মোট অটোর সংখ্যা প্রায় হাজার ছুঁই ছুঁই। সেক্ষেত্রে, ৯৫০ থেকে ৯৮০টি অটোর মধ্যে বেলেঘাটা রুটের অটোই আছে প্রায় ৩৬০টি। গড়ে রাস্তায় নামে প্রায় ২৫০টি অটো। প্রতিদিন আপ এবং ডাউন মিলিয়ে ৪ জন করে যাত্রী নিয়ে প্রতিটি অটো আট থেকে দশবার যাতায়াত করে।
এদিকে, বারবার ব্রেকজার্নির সমস্যা এড়াতে অটোয় যাতায়াতের পথ থেকে সরে আসছে নিত্যযাত্রীরা। এর পাশাপাশি, শিয়ালদহ থেকে বেলেঘাটা যাওয়ার ক্ষেত্রে অটোয় ভাড়ার তুলনায় মেট্রো কিছু হলেও সাশ্রয়ী হচ্ছে। এছাড়াও, নিত্যযাত্রীদের জন্য সময়টাও খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এক্ষেত্রে। সব মিলিয়ে, মেট্রো চালু হতেই মেট্রোয় যাতায়াতকে প্রধান্য দিচ্ছেন আমজনতা।
অটো চালকদের বক্তব্য, প্রায় ৩০ শতাংশ যাত্রী হঠাৎ করেই কমে গিয়েছে। তাদের কথায়, শুক্রবার থেকেই ব্রেক জার্নি করে সেক্টর ফাইভে যাওয়া যাত্রী হারাতে শুরু করেছেন শিয়ালদহ-বেলেঘাটা রুটের অটো। সোমবার থেকে সেই কমে যাওয়া যাত্রীদের সংখ্যা বেড়ে ৪০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে বলে অনুমান অটো চালকদের।