বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল ‘শহীদ দিবস” উপলক্ষ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সমাবেশে লাখ লাখ লোকের জনসমাগম ঘটে। তবে একদিকে যখন রাজ্যে শাসক দলের তরফ থেকে বিজেপিকে পরাজিত করার আহ্বান দেওয়া হয়েছে, আবার অপরদিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) বালুরঘাটে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র! যে একুশে জুলাই উপলক্ষ্যে গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের আধিপত্য লক্ষ্য করা যায়, সেই দিনেই তৃণমূল দল ছেড়ে পদ্মফুল শিবিরে যোগ দিলেন ৩০ জন তৃণমূল কর্মী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসক দলকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপি (BJP), আবার অপরদিকে পাল্টা দিতে ছাড়েনি তৃণমূলও।
উল্লেখ্য, গতকাল দক্ষিণ দিনাজপুরে বালুরঘাটে ৩০ জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন। বিজেপির টাউন মণ্ডল কার্যালয়ে এই ৩০ জনের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন এলাকার বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। এছাড়াও গতকালের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক নেতাবৃন্দরা। তবে শুধু এই ৩০ জনই নন, আগামী দিনে আরো বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী পদ্মফুল শিবিরে যোগদান করতে পারে বলে মত দলবদল করা এক যুবকের এবং সেই সংখ্যা ৫০ এর ওপর ছাড়াতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে এদিন অশোক লাহিড়ী জানান, “আমাদের দলের আদর্শ গোটা দেশজুড়ে প্রতিষ্ঠিত আর তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে যুব প্রজন্ম বিজেপিতে যোগদান করে চলেছে। এটা আমাদের কাছে খুব গর্বের দিন। একদিকে যখন দ্রৌপদী মুর্মু দেশের রাষ্ট্রপতি পদে নিযুক্ত হয়েছেন, আবার অপরদিকে বাংলার যুব প্রজন্ম ক্রমশ বিজেপির হাত ধরে চলেছে। এটাই আমাদের মহিমা।”
তবে এ প্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলবদল প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক মহেশ পারখ জানান, “তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে যাদের নাম তুলে ধরা হয়েছে, তারা আসলে বিজেপি কর্মী ছিলেন। কেবলমাত্র লোককে বোকা বানানোর জন্য এই নাটক করা হয়েছে। তবে মানুষ সব বোঝে।”