বাংলাহান্ট ডেস্ক: এই মুহূর্তে সবথেকে ট্রেন্ডিংয়ে দুটি নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। অপসারিত মন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে এখনো পর্যন্ত প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে প্রচুর সোনার গয়না, সম্পত্তির নথিপত্রও। প্রথমে টালিগঞ্জ আর তারপর বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ টাকা।
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কাণ্ডে স্পষ্টতই অস্বস্তিতে তৃণমূল। সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে গিয়েছে মিম, ট্রোলে। তার মধ্যেই কয়েকজন তারকা কটাক্ষ শানাচ্ছেন রাজ্যের শাসক দলকে। এই তালিকায় রয়েছেন ‘শহর’ ব্যান্ডের অনিন্দ্য বোসও (Anindya Bose)। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্পিতা পার্থ কাণ্ডকে তীব্র ব্যঙ্গ করে একটি গান লিখেছেন তিনি।
গানের নাম ‘ঢিংকা চিকা’। প্রথম চার লাইনে অনিন্দ্য লিখেছেন, ‘ট্রাঙ্কে করে যাচ্ছে টাকা/ ঢিংকা চিকা ঢিংকা চিকা! তোমার আমার পকেট ফাঁকা/ ঢিংকা চিকা ঢিংকা চিকা!’ রাজ্যজুড়ে তোলপাড় কিছু বুদ্ধিজীবী মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছেন আর তাঁর মতো কিছু ‘পাগল’ একাই সুর চড়াচ্ছে বলেও কটাক্ষ করেছেন অনিন্দ্য।
সবশেষে তাঁর বক্তব্য, ‘লেখাটা অনেকটা সেই ছেলেবেলায় দেখা টিউবওয়েল বসানোর শ্রমিকদের মত বলতে পারেন…মানে প্রথমের লাইনগুলো চিৎকার করে একা…বাকি ‘ঢিঙ্কাচিকা’গুলো কোরাসে এবং তারস্বরে…! এবং অবশ্যই মহানন্দে বগল বাজিয়ে… সহনশীলতার ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে…দেখবেন’।
শুধু এই গান নয়, পরোক্ষে শাসক দলের দিকে শ্লেষ মেষানো তীর ছুঁড়েছেন অনিন্দ্য। লিখেছেন, ‘প্লেয়ার যদি ঠিকমতো ‘খেলতে’না পারে,তাহলে সে তো দল থেকে বাদ পড়বেই! তাবলে কি ‘খেলা’ বন্ধ হয়ে যাবে?! নান্নানা… ‘খেলা হবে, খেলা হবে’।
গত শুক্রবার অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে ইডি তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করেছে ২১ কোটি টাকা সহ সোনার গয়না। শনিবার দিনই ইডির হাতে গ্রেফতার হন পার্থ অর্পিতা। নিজেদের হেফাজতে রেখে দুজনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা।
অর্পিতার থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে বুধবার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউন আবাসনের ব্লক ৫ এ ফ্ল্যাট অর্পিতার। সেই ফ্ল্যাটের বেডরুম আর বাথরুমে থরে থরে রাখা প্যাকেটবন্দি নগদ টাকা। ইডি সূত্রে খবর, প্রায় ২৮ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে ওই ফ্ল্যাট থেকে। এছাড়াও পাওয়া গিয়েছে প্রচুর সোনার গয়না, সোনার বার যার বাজার মূল্য প্রায় চার কোটি টাকা। এই পরিমাণ টাকার উৎস কী তা জানার চেষ্টা চলছে।