বাংলা হান্ট ডেস্ক: বৰ্তমান সময়ে যত দিন এগোচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে বৈদ্যুতিক গাড়ির (Electric Car) চাহিদা। পাশাপাশি, গ্রাহকদের সুবিধার্থে একের পর এক নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি লঞ্চ করছে সংস্থাগুলি। সেই তালিকায় যোগ দিয়েছে মাহিন্দ্রাও। এমনিতেই এই সংস্থার গাড়িগুলি তাদের শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং স্টাইলিশ লুকের জন্য গ্রাহকদের কাছে পরিচিত। তবে, এবার নতুন একটি গাড়ির প্রসঙ্গ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার চেয়ারপার্সন আনন্দ মাহিন্দ্রা (Anand Mahindra)।
মূলত, এক ভিডিওর মাধ্যমে তিনি Mahindra Treo Electric Auto-র প্রসঙ্গটি উপস্থাপিত করেন। যেটি পৌঁছে গিয়েছে প্রায় ১৭,৯৮২ ফুট উচ্চতায়। জানা গিয়েছে, ওই অটোটিকে জোথি বিকনেশ নামের এক ব্যক্তি লেহ জেলার খারদুং লা পাসে নিয়ে গিয়েছিলেন। আর এর ফলেই তৈরি হয়েছে এক অনন্য রেকর্ড। মূলত, Mahindra Treo-ই দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক অটো যা এত বিশাল উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে।
এমতাবস্থায়, আনন্দ মাহিন্দ্রা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন। মোট ১৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে, খারদুং লা পাস বরাবর Mahindra Treo-টিকে অবলীলায় চলতে দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ভিডিওটিকে নেটমাধ্যমে শেয়ার করে আনন্দ লিখেছেন, “ট্রিওকে বিশ্বের শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জোথি।”
এটির দাম ২.০৯ লক্ষ টাকা: জানা গিয়েছে, মাহিন্দ্রা ইলেকট্রিক মোবিলিটি ২০২১-এর ১৬ ডিসেম্বরে মহারাষ্ট্রে বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার Mahindra Treo লঞ্চ করে। আপাতত, মুম্বাইতে এর এক্স-শোরুম মূল্য হল ২.০৯ লক্ষ টাকা। জানিয়ে রাখি, এই দাম FAME-II এবং রাজ্য থেকে প্রাপ্ত ভর্তুকির পরেই নির্ধারিত হয়েছে। Mahindra Treo-র সর্বোচ্চ গতি হল প্রতি ঘন্টায় ৫০ কিমি। পাশাপাশি, এটি একবার চার্জে ৮০ কিমি পর্যন্ত ছুটতে পারে। 7.37 kWh ক্ষমতার একটি 48V লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি দ্বারা চালিত হয় এই অটোটি। যেটি চার্জ হতে প্রায় ৩ ঘন্টা সময় নেয়।
Thank you Jothi, for taking the Treo to the Top of the World… pic.twitter.com/a3qelPj0sl
— anand mahindra (@anandmahindra) July 29, 2022
প্রতি কিমি যেতে খরচ হবে মাত্র ৫০ পয়সা: ট্রিওর সামনের সাসপেনশনটি হেলিকাল স্প্রিংস, ড্যাম্পার এবং হাইড্রোলিক শক অ্যাবজরবার দিয়ে সজ্জিত রয়েছে। পাশাপাশি, এর পিছনের সাসপেনশনে লিফ স্প্রিং সহ একটি অনমনীয় এক্সেল রয়েছে। এছাড়াও, এই বৈদ্যুতিক অটোর সামনে এবং পিছনে হাইড্রোলিক ব্রেকও রয়েছে। সর্বোপরি, পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে মেকানিক্যাল লিভার ব্রেকের অপশন দেওয়া আছে। এমতাবস্থায়, Mahindra দাবি করে যে, এই বৈদ্যুতিক অটোটি মাত্র ৫০ পয়সার খরচেই প্রতি কিলোমিটার চলতে সক্ষম। যার ফলে প্রতি বছরে ৪৫,০০০ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করা সম্ভব হবে বলেও জানা গিয়েছে।