আর নেই টেনশন! এবার এই চাষ শুরু করেই ইনকাম করুন লক্ষ লক্ষ টাকা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। এমতাবস্থায়, সেই পরিবর্তনের রেশ এসেছে কৃষিকার্যেও (Agriculture)। আর সেই কারণেই গতানুগতিকভাবে খাদ্যশস্যের চাষ না করে বিভিন্ন নিত্য-নতুন চাষের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন কৃষকেরা। পাশাপাশি, তাতে মিলছে ভালো অঙ্কের লাভও। বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা ঠিক সেইরকমই এক লাভজনক চাষের প্রসঙ্গ আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করব।

যত দিন এগোচ্ছে ততোই আমাদের দেশে পান মশলা এবং গুটখার চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। পাশাপাশি, অনেকেই আবার পান খেতেও পছন্দ করেন। বিশেষ করে গ্রামে-গঞ্জে এই রেশ বেশি দেখা যায়। আর এগুলির অন্যতম উপকরণ হল সুপারি। এমতাবস্থায়, ভারতে এর ব্যাপক চাষ হয়। তবে, বাড়তে থাকা চাহিদা এবং বাজারে ভালো দাম থাকায় এখন অনেকেই নতুন করে এই চাষ শুরু করছেন।

   

জেনে অবাক হবেন যে, বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ সুপারি ভারতে উৎপাদিত হয়। যা দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবেও বিক্রি করা হয়। এমতাবস্থায় সুপারি চাষ করে কৃষকরা প্রচুর মুনাফা অর্জন করতে পারেন। কারণ সুপারি গাছ বহু বছর ধরে ফল দেয়। তাই আজ আমরা আপনাকে সুপারি চাষ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জানাতে চলেছি।

কেমন মাটি প্রয়োজন: সুপারি চাষের জন্য কোনো বিশেষ ধরনের মাটির প্রয়োজন হয় না। যদিও অধিকাংশ কৃষক এই চাষের জন্য দোআঁশ বা এঁটেল মাটি ব্যবহার করেন। সুপারি গাছে ৫ থেকে ৮ বছরের মধ্যেই ফল ধরতে শুরু করে। পাশাপাশি, এই গাছগুলি নারকেল গাছের মতো প্রায় ৫০ থেকে ৬০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়।

নার্সারিতে এই গাছের চারাগুলিকে তৈরি করা হয়। এরপর সুপারি গাছ কয়েক ফুট লম্বা হয়ে গেলে সেগুলিকে জমিতে রোপন করা যায়। মাথায় রাখতে হবে যে, সুপারি ক্ষেতে জল নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা যেন থাকে। অন্যথায় অতিরিক্ত জলের কারণে গাছ পচে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই কারণে জমিতে ছোট ছোট নিকাশির পথ তৈরি করা হয়। যেখান থেকে সেচ ও বৃষ্টির অতিরিক্ত জল বের করা যায়। জানিয়ে রাখি, সুপারি গাছের রোপন সাধারণত জুলাই মাসে করা হয়। কারণ, ওই সময়ে বর্ষাকাল হওয়ার সুবাদে জলের অভাব ঘটে না। এছাড়াও জমিতে সময়ে সময়ে গোবর থেকে তৈরি সার ও কম্পোস্ট দিতে হয়। এতে গাছের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে।

depositphotos 193941814 stock photo closeup of betel nut

কত মিলবে লাভ: রোপনের পর একটি সুপারি গাছের ফল দিতে প্রায় ৫ থেকে ৮ বছর সময় লাগে। এরপর প্রতি বছর সুপারি গাছে নতুন নতুন ফল আসতে থাকে। যা অর্ধেক পাকার পরই গাছ থেকে তুলে নেওয়া হয়। আপাতত বাজারে ১ কেজি সুপারির দাম প্রায় ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। যার ফলে একটিমাত্র গাছ থেকেই বিপুল লাভ করা সম্ভব। এমতাবস্থায়, ১ একর জমিতে সুপারি গাছ লাগালে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা খুব সহজেই উপার্জন করা যায়। একটি সুপারি গাছ প্রায় ৭০ বছর ধরে ফল দেয়। যার কারণে এই গাছটিকে সবচেয়ে লাভজনক বলে মনে করা হয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর