বাংলাহান্ট ডেস্ক : গরুপাচার মামলার (Cow Smuggling Case) তদন্তে নয়া তথ্য পেল সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ের নামে একাধিক সম্পত্তির পাশাপাশি এবার একটি কোম্পানিরও খোঁজ পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই কোম্পানির শেয়ার ক্যাপিট্যাল ছিল ১ কোটি টাকা। গরু পাচারের সমস্ত টাকা কার কার কাছে চালান হতো? এই তথ্য পেতে অনুব্রত মণ্ডলকে টানা জেরা করে তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ এবং বীরভূমের একাধিক থানার অফিসারদের একটি তালিকা তৈরি করেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, সিবিআই-এর নজরে রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও।
সিবিআই দাবি করছে, ওই কৃষিপণ্যজাত প্রক্রিয়াকরণ কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা এবং বিদ্যুৎবরণ গায়েন। বোলপুরের কালিকাপুরের ঠিকানা উল্লেখ আছে কোম্পানির নথিতে। ২০১১ সালে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক থেকে এই কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, অনুব্রতর মেয়ের নামে ১০টি সম্পত্তির দলিল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩টি ক্ষেত্রে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের পার্টনার ছিলেন সুকন্যা মণ্ডল। সমস্ত সম্পত্তিই ২০১৪ থেকে ২০১৬ এই ২ বছরে কেনা হয়েছিল বলে দাবি করছে সিবিআই।
গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআইয়ের নজর পরেছে অনুব্রতর কর্মচারীদের উপরও। জানা যাচ্ছে, শুধু দেহরক্ষী সায়গল হোসেন নয়, অনুব্রতর অধীনে কাজ করেন, এমন ১২-১৫ জনের সম্পত্তির পরিমাণও বিরাট। এদের মধ্যে রয়েছেন অনুব্রতর চিনার পার্ক ও বোলপুরের বাড়ির কর্মচারীরাও। সায়গল ছাড়া সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রয়েছেন অনুব্রতর অন্য দেহরক্ষীরাও। অন্যদিকে, আজ স্বাধীনতা দিবসের ছুটি থাকা সত্ত্বেও নিজাম প্যালেসে হাজির গরুপাচার মামলার তদন্তকারী অফিসার-সহ সিবিআই আধিকারিকরা। দুপুরের পর অনুব্রতকে জেরা শুরু হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
আগামী সপ্তাহে বোলপুরে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের বিষয়ে খোঁজখবর করতে পারেন তদন্তকারীরা। CBI সূত্রে দাবি, এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের ৪৫টি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি কোনওটা অনুব্রত মণ্ডলের নিজের নামে। কোনওটা পরিবারের সদস্যদের নামে কোনওটা আত্মীয়স্বজনের নামেও রয়েছে। এমনকি, ধৃত দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে যৌথ ভাবেও অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।