স্বাধীনতা দিবসের পুরস্কার, ৯৯ জন জেলবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্যের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে প্রতিবছরই গোটা দেশের সংশোধনাগার থেকে একাধিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে নিজেদের ‘সংশোধন’ করার পুরস্কার স্বরূপ সাজা পূরণ হওয়ার আগেই তাদের সকলকে দেওয়া হয় স্বাধীনতা। ঠিক সেভাবেই এ বছর দেশের ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে গোটা বাংলায় মোট ৯৯ জন বন্দিকে মুক্তি দিল রাজ্য সরকার। গোটা বাংলার বিভিন্ন সংশোধনাগার থেকে এদিন মোট ৯৯ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়।

জেলা সংশোধনাগার সূত্রের খবর, ৯৯ জন বন্দিদের মধ্যে মহিলার সংখ্যা ৫। এক্ষেত্রে অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার ‘সাজা’ হিসেবে যারা সংশোধনাগারে থাকেন, তাদের ‘সংশোধন-মূলক’ জীবন যাপন দেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সংশোধনাগার থেকে কারা বিভাগে তথ্য যায় এবং তা পাওয়া মাত্রই রাজ্য সরকার স্থির করে, তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হবে কিনা?এ বছর বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের সংশোধনাগারে থাকা এরকম ৯৯ জনকে মুক্ত করল সরকার। এদের মধ্যে পুরুলিয়া জেলা সংশোধনাগরে থাকা দুই ভাইয়ের জীবন কাহিনী বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

আনন্দ মর্দনা এবং বিনোদ মর্দনা নামে ওই দুই ভাইয়ের সাজা পাওয়ার ঠিক পাঁচ বছর দুই মাস পর এদিন মুক্তি  দেওয়া হলো তাদের। কারাগার সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে মারপিটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আনন্দ ও বিনোদ মর্দনাকে সাত বছরের হেফাজতের সিদ্ধান্ত দেয় আদাল।ত তবে সংশোধনাগরে থাকাকালীন তাদের ভালো কাজকর্মের দরুণ সাজা পূর্ণ হওয়ার ১ বছর ১০ মাস পূর্বেই তাদেরকে মুক্তি দিল সরকার।

এদিন পুরুলিয়া সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ ধারা একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তির স্বাদ পায় দুই ভাই। পুরুলিয়া জেলা সংশোধনাগারের অনুষ্ঠানে এদিন উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু। এই প্রসঙ্গে এদিন পুরুলিয়া জেলা সংশোধনাগরের সুপারিনটেনডেন্ট স্বপন কুমার দাস বলেন, “এদিন স্বাধীনতা দিবসের সকালেই সাজাপ্রাপ্ত দুই ভাইকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে তাদেরকে মুক্তি দেওয়া প্রসঙ্গে এদিন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।”

প্রসঙ্গত এদিন গোটা দেশজুড়ে ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। একদিকে লালকেল্লা থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আবার অপরদিকে রেড রোডে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়; যেখানে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি একাধিক চমকেরও সাক্ষী থাকে মানুষ। গোটা দেশবাসীর উদ্দেশ্যে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যে সকল বীর সংগ্রামেরা ভারতকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, তাদেরকে স্মরণ করার দিন আজ। আমরা ভারতবাসী হিসেবে তাদেরকে মনে রাখবো এবং নিজেদের মৌলিক কর্তব্য এবং অধিকার কখনোই ভুলবো না। এর প্রতি অবিচল থাকতে হবে।”

ad

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর