বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে রাজ্যবাসীর জন্য এসেছে এক সুসংবাদ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের হাত ধরে আমজনতা আরোও বেশী সুবিধা পাবে বলেই জানা গিয়েছে। এবার থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমেই মারণ ক্যানসার-সহ প্রায় ৭০ ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়ের কথা স্বাধীনতা দিবসের হীরক জয়ন্তীতে ঘোষণা করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, অন্তত সাড়ে দশলক্ষ রাজ্যবাসীর কাছে রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত নাগরিক রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পান। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় অন্তত দু’হাজার রোগের চিকিৎসা হলে সেক্ষেত্রে মাসে কম করে এক হাজার মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। তবে, এমন জনমুখী প্রকল্প থেকে আর কোন কোন ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসা সম্ভব সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখতেই সম্প্রতি আলোচনা শুরু হয়। স্বাস্থ্যসাথীর টাস্ক ফোর্স আধিকারিকদের মধ্যে। সেখানেই স্থির করা হয়, এবার থেকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে ক্যানসারের সহ আরোও বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসার সুযোগ মিলবে ।
স্বাস্থ্য দপ্তরের শীর্ষকর্তাদের কথায়, এখনও পর্যন্ত দেশের কোনও রাজ্য সরকারই নিখরচায় ব্যথা উপশমের চিকিৎসার বিশেষ বন্দোবস্ত করেনি সেই রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য। সেদিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, এখন থেকে যেসব চিকিৎসার সুযোগ মিলবে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে তারমধ্যে থাকছে রেডিওফ্রিকোয়েন্সি, অ্যাবোলেশন, রেডিওফ্রিকোয়েন্সি অ্যাবোলেশন ফর ফ্যাসেট জয়েন্টস, ইউএসজি গাইডেড পেরিফেরাল নার্ভ ব্লক-সহ অসংখ্য জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা।
মুখ্যমন্ত্রী এই ঘোষণার পর ওয়াকিবহাল মহলের মত অনুযায়ী, স্বাধীনতার হীরক জয়ন্তিতে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় আরোও উন্নতি ঘটানোর জন্য রাজ্যবাসীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বড় সামাজিক উপহার দিলেন । বস্তুত, রাজ্যের অগণিত নাগরিক নিখরচায় যে আরও ৭০ ধরনের চিকিৎসার সুযোগ পাবেন এবং তার জেরে উন্নত স্বাস্থ্যপরিবেষায় বাংলা আরোও একধাপ এগিয়ে যাবে একথা বলাই বাহুল্য।