বাংলাহান্ট ডেস্ক : অনুব্রতর বেনামি সম্পত্তি সম্পর্কিত আরও একাধিক তথ্যের হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এবার সিবিআইয়ের (CBI) নজরে বোলপুরের আরও এক রাইস মিলের মালিক রাজীব ভট্টাচার্য। এলাকায় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত তিনি। জানা যাচ্ছে, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে বসেছেন তিনি। আর এই বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য তাঁর আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এমনকি গরুপাচারের (Cow Smuggling Case) সঙ্গেও রাজীব ভট্টাচার্যের সরাসরি যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ফলে সিবিআই রাজীব ভট্টাচার্যকে নোটিস পাঠাতে চলেছে বলেই জানা যাচ্ছে।
রাজীব ভট্টাচার্য বোলপুরের বাসিন্দা। ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি লটারি বিক্রি করতেন। তারপরই উল্কার মতো উত্থান তাঁর। জানা যাচ্ছে, এই লটারি বিক্রেতা কোনওভাবে ইলামবাজার ও পুরন্দরপুর কো-অপারেটিভের রাইস মিলের লিজ নেন। সিবিআই সূত্রে খবর, তারপরই তাঁর পরিচয় অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে। এরপর আর থামতে হয় নি রাজীবকে। বর্তমানে ৭ টি রাইস মিলের মালিক তিনি। জানা যাচ্ছে, কিছুদিন আগেই দেড় কোটি টাকার ফ্ল্যাট কিনেছেন টালিগঞ্জে। এছাড়া প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে তাঁর। রাজীব বর্তমানে প্রায় কয়েকশো কোটি টাকার মালিক বলেই ধারণা সিবিআইয়ের। গরুপাচার মামলায় অনেক দিন ধরেই তদন্তকারীদের নজরে ছিলেন রাজীব। তাকে দু’ বার নিজামে প্যালেসে ডেকে পাঠানোও হয়েছিল। সেই সময় তিনি হাজিরাও দেন বলে জানা যাচ্ছে।
সিবিআইয় দাবি করছে, রাজীবের এই বিরাট সম্পত্তির পিছনে রয়েছে গরুপাচারের টাকা। আর তা খতিয়ে দেখতেই তাঁর সম্পত্তির উৎসে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, বছর দুয়েক আগে রাজীবের মিলেও হানা দেয় ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা। সেই সময়ও হিসাবে ভালোই গরমিল মিলেছিল বলেই জানায় আয়কর বিভাগ।
সূত্রে খবর, কিছুদিন আগেই নিউটাউনের একটি হাসপাতালে ৬৬ লক্ষ টাকা পাঠান রাজীব। সেই হাসপাতালে ভরতি ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী। এই টাকা রাজীব কেন টাকা পাঠিয়েছিলেন, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
সিবিআই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, রাজীব একা নন, তাঁর ব্যবসার এক পার্টনারও রয়েছেন। তাঁর নাম চন্দন মুখোপাধ্যায়। ২০১৩ সাল পর্যন্ত চন্দনের বাবা হাটে সবজি বিক্রি করতেন। রাতারাতি প্রচুর সম্পত্তির মালিক হয়ে যান তিনিও। ফ্ল্যাটের পাশাপাশি সম্প্রতি দু’টি বিলাসবহুল গাড়িও কিনেছেন দু’জনই। সিবিআইয়ের নজর রয়েছে এই দুই ব্যবসায়ীর উপরেই।