বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের পর এক নাটক অব্যাহত বিহার (Bihar) রাজনীতিতে। সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপির(BJP) সঙ্গ ছেড়ে লালু প্রসাদের (Lalu Prasad) আরজেডি (RJD) ও কংগ্রেসের (Congress) হাত ধরেছেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। স্বাভাবিকভাবেই পতন হয়েছে বিজেপি সরকারের এবং সে স্থানে ক্ষমতায় এসেছে নীতীশ, লালু এবং কংগ্রেসের মহাজোট। এর মাঝেই এদিন বিধানসভায় স্পিকারের পদত্যাগকে কেন্দ্র করে পুনরায় একবার শুরু হলো বিতর্ক। এদিন রাজ্যে আস্থা ভোটের আগেই পদত্যাগ করলেন স্পিকার। স্বাভাবিকভাবেই, প্রশ্ন উঠে গিয়েছে যে, আস্থা ভোটের পূর্বে স্পিকারের পদত্যাগ নীতীশের জন্য নয়া কোনো সমস্যার সৃষ্টি করবে না তো?
উল্লেখ্য, বিহারে নয়া সরকার ঘোষণার পর থেকেই একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায় যে, বিধানসভার স্পিকার পদ থেকেও ইস্তফা দিতে চলেছেন বিজয় কুমার সিনহা। এক্ষেত্রে নয়া ক্ষমতাসীন জোট তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও আনে। তবে এত কিছু সত্বেও শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসেন স্পিকার। আস্থা ভোট হওয়ার আগে কোনোভাবেই পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাননি তিনি। তবে অবশেষে এদিন বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার পরেই নাটকীয়ভাবে পদত্যাগ করলেন বিজয় সিনহা। শেষ মুহূর্তে তাঁর দাবি, “সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছে আমি মাথা নত করলাম। অবশেষে স্পিকার পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।”
যদিও প্রথমদিকে নয়া সরকারের বিরুদ্ধে একপ্রকার কঠোর মনোভাব নিয়েছিলেন বিজয় কুমার সিনহা। সরকারের অনাস্থা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তিনি বলেন, “চেয়ারের প্রতি আপনারা সন্দেহ পোষণ করছেন। এর মাধ্যমে জনগণের কাছে আপনারা কি বার্তা দিতে চান? মানুষই শেষ সিদ্ধান্ত নেবে।” তবে এদিন অবশেষে নিজের বিরুদ্ধে ওঠার সকল অভিযোগ অস্বীকার করেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিজেপির সঙ্গে জোট থাকাকালীন তাদের সঙ্গে একাধিক বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হয় নীতীশ কুমারের। এক্ষেত্রে স্পিকার বিজয় সিনহার প্রধান ভূমিকা ছিল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। একাধিক সময়ে তৎকালীন স্পিকারের সঙ্গে নীতীশের তর্কাতর্কি লেগে যেত, এমনকি একাধিকবার নীতীশের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ আনতেও দেখা গিয়েছে স্পিকারকে। আর এদিন অবশেষে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে মাথানত করে পদত্যাগ করলেন তিনি। এক্ষেত্রে আস্থা ভোটের আগে স্পিকারের এ পদক্ষেপ নয়া কোনো জটিলতার সৃষ্টি করে কিনা, সেটাই দেখার।