বাংলাহান্ট ডেস্ক: একদিক দিয়ে যেমন নতুন নতুন সিরিয়াল (Serial) আসছে স্টার জলসায়। তেমনি আরেকদিক দিয়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক সিরিয়াল। কয়েক মাস হোক বা এক বছর কিংবা দু-তিন বছর, যখন তখন খাঁড়ার কোপ পড়ছে যেকোনো সিরিয়ালের উপরে। এইভাবেই পরপর বন্ধ হয়ে গিয়েছে ‘বৌমা একঘর’, ‘খড়কুটো’, ‘মন ফাগুন’। তালিকায় জুড়তে চলেছে আরো একটি নাম ‘আয় তবে সহচরী’ (Ay Tobe Sohochori)।
গতে বাঁধা কূটকাচালির গল্প থেকে সরে ভিন্ন ধরণের গল্প নিয়ে শুরু হয়েছিল আয় তবে সহচরী। মধ্যবয়সী এক মহিলার শিক্ষিতা হওয়ার তাগিদ আর অসমবয়সী বন্ধুত্বের গল্পকে হাইলাইট করেছিল এই সিরিয়াল। পরে অবশ্য টিআরপি তুলতে সেই কূটকাচালিতেই ফিরতে হয় আয় তবে সহচরীকে।
কিন্তু টিআরপি তাও ওঠেনি। এর মাঝে আবার অসুস্থ হয়ে সিরিয়াল থেকে বিরতি নেন সহচরী ওরফে কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন অবশ্য তিনি অনেকটা সুস্থ। কিন্তু নিয়মিত শুটিং করা সম্ভব নয়। সেই কারণেই কি মাঝপথে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে সিরিয়াল?
এ বিষয়ে কনীনিকাকে প্রশ্ন করা হলে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, এমন কথা তিনিও শুনেছেন। প্রযোজনা সংস্থার তরফে তাঁর সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করা না হলেও চ্যানেলের তরফে ফোন করা হয়েছিল। কনীনিকা জানিয়েছেন, যদি চ্যানেল বলে তাহলে তিনি এই অবস্থাতেও গিয়ে শুটিং করে আসতে পারেন।
চেন্নাই থেকে ফিরে এর মধ্যেই একবার ‘প্রজাপতি’ ছবির শুটিং করেছেন কনীনিকা। যদিও ছোট মেয়েকে সামলে আর এই শরীরের অবস্থা নিয়ে রোজ শুটিং করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই আরো এক নতুন সিরিয়াল ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ এর প্রোমো প্রকাশ্যে এসেছে। তবে আয় তবে সহচরী শেষ হওয়ার ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষনা এখনো করা হয়নি।
কিছুদিন আগেই মেরুদণ্ডের অস্ত্রোপচারের পর চেন্নাই থেকে ফিরেছেন কনীনিকা। অভিনেত্রী লিখেছিলেন, ‘শুভ সকাল বন্ধুরা। হাসপাতালে প্রায় ১৩ দিনের সফর সেরে পরিবারের কাছে ফিরলাম। নিজের শরীরকে আরো ভাল ভাবে চেনার পর্যায়ে যে সমস্ত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা আমার সবথেকে বড় সহায় হয়েছিলেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ। ড: সিদ্ধার্থ ঘোষের মতো একজন চিকিৎসক এবং মিত্রাদির (ওঁর স্ত্রী) মতো একজন সঙ্গী পেয়ে আমি ধন্য।’
কনীনিকা আরো লিখেছিলেন, ‘আমার পরিবার আমার শক্তি। কিয়া, আমার স্বামী, বাবা, মা, কাকা, আমার বোন ওরা আমার শক্তির মূল স্তম্ভ। আর যাদের ধন্যবাদ না জানিয়ে পারব না তারা হলে তোমরা। আমার দর্শক, আমার বন্ধুরা, আমার অনুরাগীরা, আমার শুভাকাঙ্খী, আমার আত্মীয়… তোমাদের প্রার্থনায় আমি সুস্থ। সম্পূর্ণ সুস্থ হতে একটু সময় লাগবে। প্রক্রিয়া চলছে। পাশে থেকো, সঙ্গে থেকো। সকলের জন্য অনেক শুভ কামনা।’