বাংলাহান্ট ডেস্ক: টলিপাড়ার ‘ঠোঁটকাটা’ অভিনেত্রী তিনি, শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। অভিনয় থেকে ব্যক্তি জীবন, সবটাই খোলামেলা ভাবে বলতে ভালবাসেন তিনি। তাঁর এই বেপরোয়া মনোভাবের জন্য বহুবার ট্রোলড হয়েছেন অভিনেত্রী। মনের কথা রাখঢাক না করে স্পষ্ট ভাবে বলার জন্য কটুক্তি শুনেছেন। কিন্তু নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করে এখনো মাথা উঁচু করেই দাঁড়িয়ে আছেন শ্রীলেখা। নিন্দার ভয়ে মুখ বন্ধ রাখতে শেখেননি তিনি।
বয়স নিয়ে আর বয়সোচিত পোশাক না পরার অভিযোগে বহুবার বিদ্ধ হয়েছেন শ্রীলেখা। প্রচুর কটুক্তি শুনেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকের আবার প্রশ্ন ছিল, অভিনেত্রীর আসল বয়সটা কত? তাঁদের উদ্দেশে শ্রীলেখা কথা দিয়েছিলেন, নিজের জন্মদিনে বয়সটা নিশ্চয়ই বলবেন।
সেকথা রেখেছেন অভিনেত্রী। কেক কাটার আগে ৫০ লেখা বেলুন হাতে ধরে নেটনাগরিকদের উদ্দেশে তিনি বলে ওঠেন, “১৯৭২ এ জন্ম। আমি পঞ্চাশে পা দিলাম। এজ শেমিং করতে চাইলে করো। কিচ্ছু যায় আসে না।” এরপরেই শ্রীলেখা বলেন, “আমার বাবা মা তোমাদের বাবা মায়ের আগে বিয়ে করেছে, তাঁরা আগে সেক্স করেছে। তার ফলপ্রসূ আমি জন্মেছি। তাই বয়স নিয়ে আমার কোনো চাপ নেই।”
৩০ অগাস্ট ছিল শ্রীলেখার জন্মদিন। মধ্যরাত থেকেই তাঁর বাড়িতে শুরু হয়ে গিয়েছিল সেলিব্রেশন। মেয়ে মাইয়্যা তো ছিলই, সঙ্গে ছিলেন শ্রীলেখার জিম পার্টনার ত্র্যম্বক রায়চৌধুরী সহ আরো কয়েকজন বন্ধুবান্ধব। বেইজ রঙা পোশাকে সেজেছিলেন শ্রীলেখা। সঙ্গে মানানসই হালকা জাঙ্ক জুয়েলারি। হলুদ কালো বেলুনে সেজে উঠেছিল পার্টি।
মেয়ে মাইয়্যার সঙ্গে ‘উ আনটাভা’ গানে চুটিয়ে নাচতে দেখা গিয়েছে শ্রীলেখাকে। ছিল খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে পানীয়র ব্যবস্থাও। এর মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়া লাইভে এসেছিলেন শ্রীলেখা। মেয়েকে পাশে নিয়ে তিনি আরো বলেন, “আমার মেয়েকে যতগুলো ছেলে দেখবে তার থেকে একটা বেশি ছেলে আমায় দেখবে।”
মাইয়্যা তখন মন দিয়ে কেকের উপরে মোমবাতি জ্বালাতে ব্যস্ত। শ্রীলেখা বলে চলেন, “আগে বলা হত মেয়েরা কুড়িতেই বুড়ি। আমরা বয়সের বাধাটাকে অনেক দূরে সরিয়ে দিয়েছে। বয়স শুধু একটা সংখ্যা। এটা শুধু আমাদের মনে রয়েছে। হাড়ের চিকিৎসকরাও এটাই বলেন। আমার এখন কোমরে ব্যথা হয়েছে।”