বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘বিগত পাঁচ বছরে মানুষের বদলে শুধুমাত্র পঞ্চায়েত প্রধানের উন্নয়ন হয়েছে! সেই কারণেই তিনি গড়ে তুলেছেন তিন কোটি টাকার বাড়ি’, বর্তমানে বাঁকুড়ার (Bankura) অযোধ্যা পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে এহেন গুরুতর অভিযোগ সামনে আনলেন এক বিজেপি (Bharatiya Janata Party) নেতা। যদিও এ সকল অভিযোগ এক প্রকার উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা।
সাম্প্রতিক সময়ে গোটা বাংলা জুড়ে যেমন একের পর এক দুর্নীতি মামলা সামনে এসে চলেছে, আবার অপরদিকে সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলা নিয়েও পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। এর মাঝেই সম্প্রতি বাঁকুড়ার অযোধ্যা পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রধানের একটি বিলাসবহুল বাড়ির ছবি পোস্ট করেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সহ সভাপতি নীরজ কুমার।
তিনি লেখেন, “পঞ্চায়েতের দুর্নীতির টাকায় পাঁচ বছরে বিলাসবহুল অট্টালিকা গজিয়ে উঠেছে। ঠিক যেমন পশ্চিমবাংলায় যুবরাজের বাড়ি শান্তিনিকেতন, তেমনি গুরুদাস ব্যানার্জীর ৩ কোটির বাড়ি গজিয়ে উঠেছে।” এরপরই গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল হতে থাকে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিলাসবহুল বাড়িটির ছবি।
তবে শুধুমাত্র বিলাসবহুল বাড়ি নয়, পরবর্তীতে একাধিক সরকারি প্রকল্পে এলাকাবাসীদের থেকে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ সামনে এসেছে। এক স্থানীয় জানান, “সরকারি প্রকল্পে যদি বাড়ির কথা বলতে যাই, তাহলে তৃণমূল নেতারা ১০,০০০ টাকা করে চায়। এরপর আমরা কি করতে পারি?” বিজেপি নেতা নীরজ কুমার বলেন, “কলকাতায় অভিষেক ব্যানার্জির যেমন বাড়ি রয়েছে, ঠিক তেমনভাবেই অযোধ্যা পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রধানের বাড়ি গড়ে উঠেছে। সোলার বিদ্যুতের ব্যবস্থা থেকে লাখ লাখ টাকার টিভি এবং ঝাঁ চকচকে ঘর দেখলে তাক লেগে যায়। এটা দেখে মানুষ বর্তমানে বুঝতে পেরেছে যে, তাদের কোন রকম উন্নয়ন হয়নি। যা হয়েছে, শুধুমাত্র পঞ্চায়েত প্রধানের।”
যদিও যার বিরুদ্ধে এ সকল অভিযোগ, সেই গুরুদাস ব্যানার্জী বলেন, “আমার বাবা BLRO অফিসে কর্মরত ছিলেন। আমার ভাইয়ের ওষুধের দোকান রয়েছে, আবার আমিও অতীতে বালির ব্যবসায় যুক্ত ছিলাম। বর্তমানে আমাদের বাড়ি করা হয়েছে, এটা ঠিক। তবে যে সকল অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উঠে চলেছে, তা কেবলমাত্র সম্মানহানির জন্য করা হচ্ছে। এসব কিছু মিথ্যে।”