চিটফান্ড মামলায় তৎপরতা তুঙ্গে! তৃণমূল বিধায়ক ও রাজু সাহানির ঘনিষ্ঠের বাড়িতে তল্লাশি CBI-র

বাংলাহান্ট ডেস্ক : চিটফান্ড মামলায় ফের তৎপরতা শুরু সিবিআই এর। হালিশহর পৌরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানির গ্রেফতারির পর সিবিআই এর আতশ কাঁচের তলায় তার ঘনিষ্ঠরা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসারেরা তল্লাশি চালালেন কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান ও বিজপুরের বিধায়ক এর বাড়িতে। উল্লেখ্য এই চেয়ারম্যান ও বিধায়ক সম্পর্কে পরস্পর ভাই হন।

সিবিআই এর মোট ছটি দল রবিবার সকাল বেলা পৌঁছায় কাঁচরাপাড়া ও হালিশহরের বিভিন্ন প্রান্তে।বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী ও কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারীর জেটিয়ার পৈতৃক বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে গোয়েন্দারা। প্রসঙ্গত এই সুবোধ ও কমল সম্পর্কে দুই ভাই।

জানা যাচ্ছে, ধৃত রাজু সাহানির অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী সাথে। তারা দীর্ঘদিনের বন্ধু। এই প্রসঙ্গ টেনে বিজপুরের বিধায়ক বলেছেন বন্ধুত্ব থাকার জন্যই সিবিআই রাজুর গ্রেপ্তারির পর তার বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে। তার দাবি তিনি কোনভাবেই চিটফান্ড কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত নন।

প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে বর্ধমান সন্মার্গ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন নামে এই চিটফান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। কুলটি থানায় অভিযোগ জমা পড়ার পর ২০১৮ সালে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। এরপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা চার্জ শিট জমা দেয়। এই মামলায় গতবারই ডিসেম্বর সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূল নেতা তথা বর্ধমান পুরসভার পুরপ্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায় । বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত। সেই মামলাতেই এবার সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার রাজু।

CBI 4

গত শুক্রবার বাড়িতে ৮০ লক্ষ টাকা নগদ ও বেশ কিছু কার্তুজ সহ সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন রাজু সাহানি। আসানসোলের ফৌজদারি আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে পাঁচদিনের হেফাজতের নির্দেশ দেন। যদিও গ্রেফতারের পর রাজু দাবি করেছেন তিনি কোনভাবেই চিটফান্ড মামলার সাথে যুক্ত নন। লোহার ছাঁট ও পাটের ব্যবসায়ী রাজু কিভাবে মাত্র কয়েক বছরে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে গেলেন এখন সেটাই ভাবাচ্ছে সিবিআইকে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর