বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলার শাসক দলকে আক্রমণের পর আক্রমণ করেই চলছে বামেরা (Left Front)। বর্ধমানের কার্জন গেটের পর এ বার বীরভূমের (Birbhum) লোহাপুর। আরও একবার তৃণমূলকে (Trinamool Congress) তোপ দাগলেন সিপিএমের (CPM) যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukhopaddhay)। এদিন রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, সরকারি প্রকল্প থেকে উপভোক্তার নাম বাদ দিলে হাত কেটে গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।
এদিন ছিল ডিওয়াইএফআই-এর (DYFI) ২০তম বীরভূম জেলা সম্মেলন। সেই উপলক্ষেই বিকেলের দিকে নলহাটি ২ ব্লকের লোহাপুর গরুর হাট সংলগ্ন মাঠে একটি জনসভায় আয়োজন করা হয়। ওই সম্মেলনে বক্তৃতা রাখেন মীনাক্ষী। শিক্ষায় দুর্নীতি থেকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট— মীনাক্ষীর বক্তৃতায় উঠে এসেছে অনেক বিষয়ই।
শাসক দলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘চার দিকে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে সরকারি প্রকল্প থেকে নাম বাদ দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সরকারি প্রকল্প কি তৃণমূল নেতাদের জমিদারির টাকায় হয় নাকি? সাধারণ মানুষের করের টাকায় হয় ওই সমস্ত প্রকল্প। সরকারি প্রকল্প থেকে নাম বাদ দিলে যে হাত দিয়ে নাম বাদ দেওয়া হবে, সেই হাতটাই আর শরীরের সঙ্গে যুক্ত থাকবে না। সেই হাতটাই ঝুলবে গলায়। তার ব্যবস্থা আমরাই করব।’ মীনাক্ষীর বিস্ফোরক হুমকির পর তৃণমূলের বিধায়ক তাপস রায় বলেন, ‘এ ভাবেই ওঁরা লোকসভা আর বিধানসভায় শূন্য হয়ে গেছে। এর পর আরও হবে।’
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই বামেদের আইন অমান্য আন্দোলন ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বর্ধমানের কার্জন গেট সংলগ্ন এলাকা। ব্যাপক তাণ্ডব চালায় সিপিএম কর্মীরা। বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধও হয়। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ, ফাটায় কাঁদানে গ্যাসের শেল। কার্জন গেট এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায় সিপিএম কর্মীরা। উপড়ে ভেঙে দেওয়া হয় বিশ্ব বাংলা লোগো, ভাঙচুর হয় দোকানপাট, লুঠ করা হয় ফলের দোকানও। যা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়ে আলিমুদ্দিন। তার মধ্যেই আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য মীনাক্ষীর।