আগামী ২৫ বছরের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাবে এলিয়েনদের! চাঞ্চল্যকর দাবি বিজ্ঞানীর

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এলিয়েনের অস্তিত্ব আদৌ (Alien) আছে না নেই এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে হাজারও প্রশ্ন বহুকাল ধরে রয়ে গিয়েছে। তবে, এলিয়েনদের সন্ধান পেতে বিজ্ঞানীরা কিন্তু তাঁদের গবেষণা জারি রেখেছেন। এমনকি, পৃথিবীর বাইরে আরো কোথাও প্রাণের সন্ধান রয়েছে কি না সেই বিষয়েও জোরকদমে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন তাঁরা। এমতাবস্থায়, বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, তাঁরা খুব দ্রুত সৌরজগতের বাইরে প্রাণের (Life Outside Solar System) সন্ধান পাবেন।

এমনকি, আগামী ২৫ বছরের মধ্যেই এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগ পর্যন্ত করা যাবে বলে দাবি করলেন এক বিজ্ঞানী। মূলত, এই যোগাযোগ স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। এদিকে, এই দাবি সঠিক প্রমাণিত হলে এখন আপনার বয়স যদি ২৫ হয়, সেক্ষেত্রে আপনার ৫০ বছর বয়সের মধ্যেই ভিনগ্রহীদের সাথে যোগাযোগ করা যাবে।

উল্লেখ্য যে, সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (ETH Zurikh)-র অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট সাশা কোয়াঞ্জ এই দাবি করেছেন। মূলত, বিশ্ববিদ্যালয়ের অরিজিন অ্যান্ড প্রিভালেন্স অব লাইফের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই তথ্য তুলে ধরেন। সাশা জানান, “আজকের যুগে আমাদের যত প্রযুক্তিই থাকুক না কেন, তাতে জানা গেছে যে মহাবিশ্বের একমাত্র প্রাণী আমরা নই। অন্যান্য গ্রহেও প্রাণ থাকতে পারে। শুধু তাদের খুঁজে বের করতে হবে, তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।”

সাশার মতে, ১৯৯৫ সালে তাঁর সহকর্মী তথা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী দিদিয়ের কুইলোজ সৌরজগতের বাইরে প্রথম গ্রহ আবিষ্কার করেছিলেন। অথচ আজ ৫ হাজারটিরও বেশি বাইরের গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে। অর্থাৎ, এখন প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন গ্রহ অর্থাৎ এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কৃত হচ্ছে। যদিও, এখনও অনেক এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কৃত হয়নি। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, আমাদের গ্যালাক্সিতে ১০ হাজার কোটি নক্ষত্র রয়েছে। আবার, প্রতিটি নক্ষত্রেরই একটি সঙ্গী গ্রহ রয়েছে। অর্থাৎ সৌরজগতের বাইরে অসংখ্য এক্সোপ্ল্যানেটের অবস্থান রয়েছে।

এছাড়াও, তিনি বলেন, “পৃথিবীর মতো যে কোনো গ্রহ তার মূল নক্ষত্র থেকে উপযুক্ত স্থানে অবস্থান করলে সেখানে প্রাণের সম্ভাবনা থাকতে পারে। আমরা এখনও জানি না, যে বাইরের গ্রহগুলি আবিষ্কৃত হয়েছে তাদের বায়ুমণ্ডল আছে কিনা। আমাদের এখন সেটাই সন্ধান করতে হবে। তাদের প্রতি নজর রাখতে হবে। যাতে আমরা ছবির মাধ্যমে সেগুলিকে ভালোভাবে অধ্যয়ন করতে পারি বা ভবিষ্যতে সেখানে প্রোব পাঠাতে পারি।”

alien

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সাশা ঠিক সেই সময়ে একথা জানিয়েছেন যখন জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (James Webb Space Telescope) এক্সোপ্ল্যানেট HIP 65426B আবিষ্কার করেছে। এটি বৃহস্পতি গ্রহের চেয়েও প্রায় ১২ গুণ বড়। এই নতুন আবিষ্কৃত গ্রহটি তার নক্ষত্র থেকে এত দূরে পরিক্রমণ করছে যা সূর্য এবং পৃথিবীর মধ্যে থাকা দূরত্বের ১০০ গুণেরও বেশি।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর