বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্জাব, সিন্ধু, গুজরাট কিংবা মারাঠা; সবকটি শব্দ নিজ নিজ স্থানে যথাক্রমে অবস্থান করলেও স্থান পায়নি কেবল দুটি শব্দ, উৎকল এবং বঙ্গ। জাতীয় সঙ্গীতে এহেন ত্রুটি সামনে আসতে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh) জুড়ে। এমনকি, এক্ষেত্রে অভিযুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধেও সমালোচনায় সরব হয়েছে বেশ কয়েকটি মহল।
ঘটনা সূত্রপাত কোথায়, তা জানতে হলে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত জেনে নেওয়া দরকার। আমাদের জাতীয় সঙ্গীতে একটি পংক্তি, “পাঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মারাঠা দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ” এবং পরবর্তী পংক্তিটি হল, “বিন্ধ্য হিমাচল যমুনা গঙ্গা..”
তবে এক্ষেত্রে অন্যান্য প্রতিটি শব্দগুলি সঠিক স্থানে থাকলেও উৎকল এবং বঙ্গ গিয়েছে বাদ।
সম্প্রতি, উত্তরপ্রদেশে পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য যে হিন্দি পাঠ্যপুস্তক প্রকাশিত হয়েছে, তাতে এহেন ত্রুটি ঘিরেই বর্তমানে একের পর এক বিতর্কের সৃষ্টি হয়ে চলেছে। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে কিভাবে এত বড় ভুল হতে পারে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনার সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি।
প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, ত্রুটিপূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত সহ ইতিমধ্যে প্রায় তিন লক্ষ বই ছাপানো হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে বিতর্ক মাঝেই আবার একে অপরের উপর দোষ চাপানোর খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের সচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বলে খবর। তবে তাদের দাবি, এই ঘটনায় প্রকাশনা সংস্থা ছাপানো ভুল করেছে। যদিও প্রকাশনা দপ্তরের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই বিরোধ প্রদর্শন করে চলেছে বিরোধী দলগুলি। এমনকি, একটি মহলের দাবি, যেহেতু অতীতে পশ্চিমবঙ্গ এবং উড়িষ্যায় কখনোই ক্ষমতায় আসতে পারেনি বিজেপি, সেই কারণেই জাতীয় সঙ্গীতের পংক্তি থেকে ‘উৎকল’ এবং ‘বঙ্গ’ শব্দ দুটিকে বাদ দেওয়া হয়েছে।