বাচ্চাচোর ভেবে পিটিয়েছিল জনতা, পুলিশ আটক করতেই জানা গেল সে আদতে গণধর্ষণে অভিযুক্ত

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিহারের বৈশালী জেলায় গত ১০ সেপ্টেম্বর এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, দুষ্কৃতীরা ধর্ষণের ভিডিও তৈরি করে ভাইরাল করে নেট মাধ্যমে। এ ব্যাপারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। এই মামলায় মোট ৫ জনের নাম থাকলেও পুলিশ এখনো সকলকে আটক করতে পারেনি। যদিও এক অভিযুক্ত জনতার হাতে ধরা পড়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

প্রথমে শিশু চোর ভেবে তাকে মারধর করে গ্রামবাসীরা, কিন্তু যখন তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়, তখন জানা যায় তার বিরুদ্ধে আদতে গণধর্ষণের মামলা রয়েছে। ধর্ষণের মামলায় পুলিশের হাত থেকে পালাতে আত্মগোপনের চেষ্টা করছিল অভিযুক্ত। তাই ঘটনার পর থেকে সে মুখ ঢেকে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। কিন্তু জনতা তাকে শিশু পাচারকারী হিসেবে ধরে নিয়ে গিয়ে গণধোলাই দিয়ে থানায় নিয়ে যায়। এরপর অভিযুক্তকে পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে পুলিশ।

ধৃত যুবকের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে আরও দুই আসামি এখনো পলাতক এবং তাদের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। এ ঘটনার পর পুরো এলাকায় উত্তেজনা তুঙ্গে।

jpg 20220916 115322 0000

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর বৈশালী জেলার একটি গ্রামে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। জানা যায়, কিশোরী তার এক পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে রাস্তায় হাঁটছিলেন। এরপর জনা পাঁচেক ছেলে তাদের পথ আটকায়। অভিযুক্তরা প্রথমে পুলিশ ডেকে গ্রামবাসীদের সামনে তাদের মানহানি করার হুমকি দেয়, তারপর ওই ছেলে বন্ধুর সামনেই মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে তারা। শুধু তাই নয়, এই পুরো ঘটনার ভিডিও তৈরি করে ভাইরালও করে দেয়। এরপর থেকেই ফেরার ছিল এই পাঁচ অভিযুক্ত।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর