বাংলাহান্ট ডেস্ক : উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ফের সাক্ষী থাকলো এক ন্যাক্কারজনক ধর্ষণের ঘটনার। বাড়িতে চুরি করার মত কিছু না পেয়ে সন্তানের সামনে মাকে গণধর্ষণ করল দুই যুবক। আড়াই বছরের সন্তানের গলায় ভোজালি ঠেকিয়ে রীতিমতো দুঃসাহসিক ভাবে ওই মহিলার সম্মানহানি করলো দুই দুষ্কৃতী। এই ঘটনার পর তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদে।
হাসনাবাদের এই গৃহবধুর স্বামী মাছের ভেড়ি পাহারা দেওয়ার কাজ করেন। গৃহবধুর স্বামী রাতে তার কাজে ছিলেন। এমন সময় গৃহবধূকে একা পেয়ে বাড়িতে চুরি করতে ঢোকে দুই দুষ্কৃতী। পরিবারের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হওয়ায় চুরি করার মতো কিছুই খুঁজে পায় না তারা। এরপর দুষ্কৃতীরা ওই গৃহবধুর সন্তানের গলার কাছে ভোজালি ধরে ও গৃহবধূর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। সন্তানের জীবনের কথা ভেবে ওই গৃহবধূ চুপচাপ সবকিছু মেনে নেন। এছাড়াও দুষ্কৃতীরা গৃহবধূকে হুমকি দেয় যে এই ঘটনা জানাজানি হলে তার স্বামী ও সন্তানকে খুন করা হবে।
গণধর্ষণের পর গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়লে সমস্ত ঘটনা তার স্বামীকে খুলে বলেন। পরের দিন সকালে এই ঘটনা জানতে পারেন গ্রামবাসীরা। ওই গ্রামে দুষ্কৃতীদের দেখতে পেয়ে তাদের গণপিটুনি দেওয়া হয়। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
এই ঘটনা ফের উত্তর চব্বিশ পরগনায় মহিলাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড় করালো। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই উত্তর চব্বিশ পরগনার বাগদায় বিএসএফের দুই কনস্টেবলের গণধর্ষণের শিকার হন এক মহিলা। ওই ঘটনার পর তীব্র সমালোচনার শিকার হয় পুলিশ-প্রশাসন।