বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে গোটা বাংলা জুড়ে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় সরগরম রাজনীতি। এই মামলায় একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতারি এবং অসংখ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি যাওয়া প্রসঙ্গে তোলপাড় গোটা বাংলা। এমনকি, ২০১৭ সালের পর থেকে নিয়োগ হওয়া শিক্ষকদের চাকরির স্থায়িত্ব কতদিন, তা নিয়েও রীতিমতো সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে আর এবার রায়গঞ্জ (Raigunj) কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক সেই সকল শিক্ষকদের ঋণ দিতে অস্বীকার করায় নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে একের পর এক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় জড়িত হয়ে চাকরি হারিয়ে চলেছে, তাতে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। এক্ষেত্রে অন্যান্য শিক্ষকদের চাকরির স্থায়িত্ব কত দিন, তা নিয়েও বিস্তর জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
এর মাঝেই উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক শিক্ষকদের ঋণ দিতে অস্বীকার করে। এ ঘটনায় ২০১৭ সালে নিয়োগ হওয়া বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা সমস্যার সম্মুখীন হন। সূত্রের খবর, মোট ২৫০০ শিক্ষক-শিক্ষিকা ঋণ সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন। বেশ কয়েকজনের দাবি, প্রতিমাসে উক্ত ব্যাঙ্ক থেকে তাদের স্যালারি আসলেও বর্তমানে ঋণ না মেলায় কেউ কেউ পুজোর আগে নতুন বাড়ি তৈরি করতে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, অনেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পর্যন্ত করতে পারছেন না।
এক শিক্ষকের দাবি, “ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ না মেলার কারণে আমার বিয়ে পর্যন্ত আটকে গিয়েছে।” এক্ষেত্রে তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কাছে এহেন অভিযোগ পৌঁছে যাওয়ার পরই তারা রায়গঞ্জ কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এক্ষেত্রে তাদের ঋণ অনুমোদনের বিষয়ে আর্জি জানানো হয়েছে।
সংগঠনের এক নেতা দাবি করেন, “আমরা সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের ঋণ অনুমোদনের আর্জি জানিয়েছি। এক্ষেত্রে আমাদের নেতারা লোনের গ্যারান্টি দেবে।” বর্তমানে শিক্ষক সমিতির হস্তক্ষেপের কারণে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে উক্ত ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান তিলক চৌধুরী বলেন, “শিক্ষক-শিক্ষিকাদের লোন নিয়ে আর কোন সমস্যা নেই। খুব দ্রুত তাদের লোনের সমস্যা সমাধান করা হতে চলেছে।”