বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘চটি চেঁটেই শুভেন্দু অধিকারীর পরিবার স্বীকৃতি পেয়েছে’, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার উদ্দেশ্যে ফের একবার কটাক্ষ ছুড়ে দিল তৃণমূল (Trinamool Congress)। গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) হেড়িয়াতে প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত হয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং রাজ্য বিজেপির (BJP) নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ঠিক এহেন ভাষাতেই আক্রমণ শানালেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় একের পর এক দুর্নীতি মামলা উঠে চলেছে। এ সকল মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন বহু তৃণমূল নেতা মন্ত্রীরা। যদিও অপরদিকে, এ সকল ঘটনার পিছনে বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ ঘাসফুল শিবিরের। সেই ধারা বজায় রেখেই গতকাল বিজেপির নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে তৃণমূল। এর পাশাপাশি তাদের স্লোগান ছিল, ‘এজেন্সি নয় চাকরি চাই।’
পূর্ব মেদিনীপুরের হেড়িয়ার সভা থেকে শুভেন্দু সহ বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উপড়ে দেন কুণাল ঘোষ। গতকাল তৃণমূলের প্রতিবাদ সভায় কুণালবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল মন্ত্রী অখিল গিরি, তরুণ কুমার মাইতি সহ আরো অনেকে। সেখান থেকেই কুণাল ঘোষ বলেন, “আমরা ভাষা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। তবে সাম্প্রতিক সময় শুভেন্দু অধিকারী আমাদের দলকে উদ্দেশ্য করে যেভাবে আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা রসগোল্লা ছুড়বো না। সংবাদমাধ্যমের সামনে শুভেন্দুর কোনো প্রশ্ন পছন্দ না হলে উনি মিডিয়াদের ‘চটি চাটা’ বলেন। কিন্তু ওনার পরিবার চটি চেটেই স্বীকৃতি পেয়েছে।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বোলপুরে শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সরগরম রাজনীতি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে বিজেপি। একইসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ঘেরাও করা নিয়েও শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে তারা। এদিন সেই প্রসঙ্গে কুণালবাবু বলেন, “ওরা কিছু হলেই সিবিআই চায়। আসলে এখন সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি মিলে একসঙ্গে লড়ছে। বাংলায় এমন অনেক মামলা রয়েছে, যা আমাদের সিআইডি ও পুলিশ সমাধান করেছে। ওরা আসলে দিল্লির জেঠুদের ওপর ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।”
একইসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় ঘেরাও বিষয়ে তিনি বলেন, “বোলপুরের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগসূত্র নেই। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েই কিছু একটা হয়েছে। এটা আমাদের পুলিশ সিআইডি মিলে সমাধান করতে পারবে। সেখানকার মানুষ এবং বাড়ির লোকেরাও চাইছে, এটা নিয়ে যাতে কোনরকম রাজনীতি না হয়। আসলে ওনাকে গাঁয়ে মানে না, কিন্তু মোড়ল হয়ে ঢুকতে গিয়েছিলেন। তাই যা হওয়ার ছিল, সেটাই হয়েছে।”