বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে ট্রাফিক নিয়ম ভাঙার অজুহাতে বেআইনিভাবে টাকা তুলেছিলেন তাঁরা (taking bribe)। এই অভিযোগেই সাসপেন্ড (suspended) করা হল খড়দহ (Khardaha) থানার দুই পুলিস আধিকারিককে (police officer)। সাব-ইন্সপেক্টর সুজয় সরকার ও কনস্টেবল তাপস দাসকে সাসপেন্ড করল ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেট।
বিশেষ সূত্রে খবর, সোদপুরের কাছে বিটি রোডের উপর একটি দুধের গাড়িকে থামিয়ে সেটির কাগজপত্র দেখতে চায় ওই সাব ইন্সপেক্টর এবং কনস্টেবল। গাড়িটির কাগজপত্রে কিছু ভুল ছিল বলে জানা যাচ্ছে। এরপর গাড়িটিকে কেস না দিয়ে তার বদলে নগদ টাকা দাবি করে অভিযুক্ত দুই পুলিসকর্মী। গাড়িচালকের সঙ্গে সেই মতো টাকার হিসাবও করে নেয় দুজন।
কিন্তু এরপরেই খড়দহ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ও বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের পুলিস কমিশনারকে পুরো বিষয়টি জানান গাড়িটির মালিক। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে খড়দহ থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুজয় সরকার ও কনস্টেবল তাপস দাসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে ব্যারাকপুর পুলিসকমিশনারেট। সেই তদন্তে দোষী প্রমাণিত হয় দুজন। এরপরেই দুই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করে পুলিস লাইনে ক্লোজ করে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, মানুষের মনে পুলিস আধিকারিকদের বিষয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখার তাগিদেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ‘কোনও তোলাবাজি চলবে না, কে কত বড় গুন্ডা আছে দেখতে চাই’। তোলাবাজি বন্ধে এমনই হুঁশিয়ারি পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপারের। বিগত কয়েকদিন ধরেই টোটো চালকদের কাছে তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠছিল। এর প্রেক্ষিতেই এমন হুঁশিয়ারি দিলেন এসপি। এদিন তিনি বলেন, ‘তোলাবাজি চলবে না, বারবার বললাম, দেখতে চাই কড় বড় গুন্ডা আছে। স্টেশনের বাইরে কেউ তোলাবাজি করলে, এক পয়সাও দেবেন না।’ টোটো চালকদের কাছে তোলাবাজি বন্ধে বর্ধমানে এই সুরেই হুঁশিয়ারি পুলিস সুপারের।