বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। তার পূর্বে দেশের বুকে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া কেন্দ্র এবং বিরোধী দুই পক্ষই। একদিকে যখন পরপর তিনবার দেশের মসনদে বসতে মরিয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi), আবার অপরদিকে বিজেপিকে (BJP) ক্ষমতা থেকে সরাতে তৎপর হয়ে উঠেছে দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস (Congress) সহ অন্যান্য সকল আঞ্চলিক দলগুলি। ইতিমধ্যে বেশ কিছু প্রসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী জোট গড়ে তোলার স্বার্থে পদক্ষেপ নিতেও দেখা দিয়েছে অধিকাংশ দলগুলিকে আর এবার কংগ্রেসের সঙ্গে বাংলার শাসক তথা তৃণমূল (Trinamool Congress) শিবিরের জোট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে বসলেন এনসিপি (NCP) প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)।
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিপুল পরিমাণ ভোটে জয়লাভ করে ক্ষমতায় বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে বাংলা ছাড়াও অসম, ত্রিপুরা এবং গোয়ার মতো রাজ্যগুলিতে ক্ষমতায় আসতে তৎপর হয়ে ওঠে তারা। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় একাধিকবার শোনা যায় বিরোধী জোট প্রসঙ্গ। এক্ষেত্রে রাজ্যে তাদের প্রতিপক্ষ সিপিএম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে আদৌ জোট সম্ভব কিনা, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনেকাংশেই বদলেছে চিত্র! সম্প্রতি, বিহারে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে আরজেডি এবং কংগ্রেসের হাত ধরে ক্ষমতায় আসে নীতীশ কুমারের জেডিইউ। একইসঙ্গে জাতীয় রাজনীতিতে উঠে আসতে তৎপর নীতীশ কুমার ইতিমধ্যেই একাধিক বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা পর্ব সেরেছেন বলে খবর। এর মাঝেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন যে, লোকসভা নির্বাচনের পর সকল রাজ্যের আঞ্চলিক দলগুলি মিলে জোট করলে অনায়াসেই পরাস্ত হবে বিজেপি।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এদিন শরদ পাওয়ার বলেন, “অতীতের সকল অভিজ্ঞতাকে পিছনে ফেলে লোকসভা ভোটের জন্য কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠন করতে প্রস্তুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” অতীতে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক খুব একটা ভালো না হলেও সেই সকল ইস্যু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ভুলিয়ে দেবেন বলেই দাবি এনসিপি প্রধানের। তিনি বলেন, “বাংলায় ভোটের সময় কংগ্রেসের অংশগ্রহণ বিজেপিকে একদিক থেকে উপকৃত করে। তবে আমার মনে হয়, এ সকল বিষয়গুলিকে ভুলে জোট গঠন করতে প্রস্তুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
অপরদিকে, দেশের রাজনীতিতে নীতীশ কুমারের উঠে আসা প্রসঙ্গে এনসিপি প্ৰধান জানান, “বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেশের মানুষের জন্য ক্রমাগত সমস্যা বেড়ে চলেছে। এর সমাধানের জন্য একটি যৌথ সংস্থার দরকার। আমার মনে হয়, বিরোধী দলগুলির ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার। সে ক্ষেত্রে ফারুক আব্দুল্লাহ হোক কিংবা নীতীশ কুমার, সকলের একত্রিত হওয়া প্রয়োজন।”