বাংলাহান্ট ডেস্ক : খুব কম লোকই আছেন যারা তাদের সুপ্রতিষ্ঠিত এবং ভাল চাকরি ছেড়ে চাষাবাদের মধ্যে দিয়ে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। ললিত ও খুশবু এমনই এক দম্পতি। যোধপুরের বাসিন্দা ললিত এমবিএ করার পর একটি ব্যাঙ্কে চাকরি পান, তাঁর স্ত্রী ছিলেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। এরপর হঠাৎ করেই দুজনেই চাকরি ছেড়ে নেমে পড়েন চাষের মাঠে। জৈব চাষ শুরু করেন তারা। শুধু তাই নয়, এরপর এটিকে একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত করেন।
ললিত প্রথমে শুধু জৈব চাষের কথা শুনেছিলেন। তিনি যখন এই চাষের ক্ষেত্রে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেন, তখন তিনি জৈব চাষের উপর সম্পূর্ণ গবেষণা শুরু করেন। তিনি বলেছেন , “যখন এমবিএ করতে পুনে গিয়েছিলাম সেখানে গ্রিন হাউস এবং পলিহাউসের কথা জানতে পারলাম। তারপর ভাবলাম আমারও যদি এমন একটা নার্সারি থাকত।” এরপর ললিত নিজের জমিতে গ্রিনহাউস ও পলিহাউস তৈরি করে নার্সারি শুরু করেন। তারপর অর্গানিক ফল ও সবজি চাষ করেন। ললিত বলেন, পলিহাউসের জন্য তিনি তার বাবার কাছে পৈতৃক জমি চেয়েছিলেন। প্রথম দিকে বাবা রাজি হননি, তারপর ধীরে ধীরে তিনিও রাজি হন। ললিত প্রথমে এই ব্যবসায় মাত্র ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। আজ তার বার্ষিক আয় ১০০ কোটির বেশি।
ললিতের স্ত্রী খুশবু পেশায় একজন সিএ। এই সব তার কাছে একেবারে নতুন ছিল। আস্তে আস্তে এখন তিনি ললিতের পুরো ব্যবসাই সামলাচ্ছেন। তিনি বলেছেন যে রাজস্থানের মতো শুষ্ক রাজ্যে কৃষকদের চাষের নতুন ধারণা দেওয়া এবং তাদের লাভের ব্যবস্থা করাই আমাদের লক্ষ্য। এখন পর্যন্ত আমরা ৬০ হাজার কৃষককে কৃষিকাজের গুণ শিখিয়েছি।
ললিতের কথায়, রাজস্থানে জলের অভাব মাঝে মাঝে কৃষকদের মনোবল ভেঙে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে কম জলে বেশি ফলন পাওয়া যায়, কোন ফসল সঠিক হয়, কীভাবে জৈব চাষ থেকে অর্থ উপার্জন করা যায়, এখন আমরা দুজনেই রাজস্থানে ঘুরে ঘুরে কৃষকদের সে কথা বলি।