বাংলাহান্ট ডেস্ক: তাঁর সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত দুটি ছবিই বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। তবুও স্টারডমে তেমন প্রভাব পড়েনি আমির খানের (Aamir Khan)। ইন্ডাস্ট্রির তিন খান তারকার মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা কম নয়। ‘লাল সিং চাড্ডা’ ফ্লপ হওয়ার পর পরই দেশ ছেড়েছিলেন আমির। কিছুদিনের জন্য বিশ্রাম নিতে পাড়ি দিয়েছিলেন মার্কিন মুলুকে। বিচ্ছেদের পরেও একাধিক সময়ে আমিরের সঙ্গেই থাকতে দেখা গিয়েছে প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাওকে (Kiran Rao)।
গত বছর দ্বিতীয় স্ত্রী কিরণের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা ঘোষনা করেছিলেন আমির। জানিয়েছিলেন, দীর্ঘদিন ধরে দুজনে আলোচনা করার পরেই যৌথ ভাবে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন। কিন্তু বিচ্ছেদের নেপথ্যের কারণটা জানাননি তাঁরা। নেটিজেনদের কয়েকজনের মতে অবশ্য আমিরের এক নোংরা স্বভাবের জন্যই নাকি বিরক্ত হতেন কিরণ।
২০১১ সালে ‘ধোবি ঘাট’ ছবির প্রচারের সময়ে আমিরের এই খারাপ স্বভাবটার কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। আমির নাকি নিয়মিত স্নান করেন না! এমনকি বাইরে বেরোনোর দরকার না পড়লে নাকি পারতপক্ষে স্নানের নাম করেন না তিনি!
এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে একে অপরের খারাপ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করেছিলেন আমির কিরণ। তখনি অভিনেতার প্রাক্তন স্ত্রী জানিয়েছিলেন, আমির নাকি স্নানই করতে চান না। নিয়মিত স্নান করেনও না তিনি!
সঙ্গে সঙ্গে আত্মপক্ষ সমর্থন করে অভিনেতা বলেছিলেন, এমনটা মোটেও সত্য নয়। কাজের জন্য বাইরে বেরোতে হলে স্নান করেই বেরোন তিনি। আর যেহেতু প্রায়ই তাঁকে বাইরে বেরোতো হয় তাই তিনি বেশিরভাগ সময়ই স্নান করেন। শুধু যখন তিনি বাড়িতে থাকেন বা ছুটি কাটান তখনই স্নান করেন না, স্বীকার করেছিলেন আমির।
এই স্বভাবটা মোটেও পছন্দ ছিল না কিরণের। তবে তিনি এও জানিয়েছিলেন, আমিরকে নিজের জীবনে পেয়ে তিনি খুশি। স্বামী স্ত্রীর থেকেও তাঁরা বন্ধু বেশি ছিলেন। তাই একসঙ্গে কাজ করতে গেলেও কোনোদিন ইগোর সমস্যা হয়নি। তখন অবশ্য মাত্র ছয় বছর কেটেছিল দুজনের বৈবাহিক জীবনের। প্রথম বিয়ের মতো দ্বিতীয় বিয়েতেও ১৬ বছর একসঙ্গে থাকার পর বিচ্ছেদ হয়ে যায় আমিরের।