বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল বারাসাত (Barasat) এলাকায়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোরগোল ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। নির্যাতিতা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে ফুঁসছে এলাকাবাসীরা।
ঘটনার কেন্দ্রস্থল দেগঙ্গা থানা সংলগ্ন আমুলিয়া পঞ্চায়েতের উত্তর বরুনি এলাকা। এলাকারই কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে নাবালিকাটিকে গণধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে এলাকাবাসীরা। প্রশাসনের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
নির্যাতিতার বয়স মাত্র ১৪ বছর। বাড়ি হাবরা থানা সংলগ্ন রাউতারা পঞ্চায়েতের দক্ষিণ মালিগ্রাম। গতকাল পাড়ায় একটি দোকান থেকে ডিম কিনতে গিয়েছিল সে। অভিযোগ, সেই সময় বাইকে করে আসে কিছু যুবক এবং পরবর্তীতে নাবালিকাটির পথ আটকায় তারা। এরপর অভিযুক্তরা মেয়েটিকে বলপূর্বক বাইকে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে উত্তর বরুনি এলাকায় একটি পেঁপে ক্ষেতের মধ্যে তাকে গণধর্ষণ করে সকলে।
নাবালিকার পরিবার সূত্রে খবর, সন্ধের সময় তাদের মেয়ে বাড়ি থেকে বের হয় এবং পরবর্তীতে অনেক রাত হয়ে গেলেও যখন সে ফেরে না, তখন খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেয় সকলে। এরপর গভীর রাতের দিকে পেঁপের ক্ষেত থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকে এবং তৎক্ষণাৎ তাকে বারাসাত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। এই মুহূর্তে মেয়েটি সুস্থ রয়েছে বলেই খবর।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে ফুঁসছে এলাকাবাসীরা। বারাসাত থানার জেলা পুলিশ সুপার জানান, “অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত পাকড়াও করা হবে।”
সম্পূর্ণ ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন নির্যাতিতার বাবা বলেন, “সন্ধের সময় পাড়ার একটি দোকানে ডিম কিনতে গিয়েছিল মেয়ে। তবে অনেকটা রাত হয়ে গেলেও যখন ও ফেরেনি, তখন খোঁজাখুঁজি শুরু করে দিই। এরপর গ্রামবাসীরা ফোন করে জানায় যে, উত্তর বরুনি এলাকায় পড়ে রয়েছে আমাদের মেয়ে। ওর সঙ্গে পাশবিক অত্যাচার করা হয়েছে। যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদের যেন কঠোর শাস্তি হয়।”