বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রথম বার মা হওয়ার আনন্দই আলাদা। তাও আবার যদি বিয়ের ৬ বছর পর আসে প্রথম সন্তান, তাহলে আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। তেমনি আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন বিপাশা বাসু (Bipasha Basu)। মা কবে হবেন? কবে আসবে প্রথম সন্তান? এত বছর ধরে বারংবার এই প্রশ্নগুলোরই সম্মুখীন হয়েছেন বিপাশা।
অবশেষে তাঁরও দায়িত্ব বাড়তে চলেছে। নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। ইতিমধ্যেই বাঙালি মতে সাধের অনুষ্ঠান করেছেন বিপাশা। মা, বোন সহ বাসু পরিবারের সকলে উপস্থিত ছিল বিপাশার সাধে। পঞ্চব্যঞ্জনে থালা সাজিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিপাশাকে। ভাল, ডাল, পাঁচ রকম ভাজা, মাছ, মাংস মিষ্টি বাদ ছিল না কিছুই।
বয়োজ্যেষ্ঠদের থেকে আশীর্বাদ নিয়ে মায়ের হাতে প্রথম সাধের খাবার মুখে তোলেন বিপাশা। এদিনের একগুচ্ছ ছবি, ভিডিও অনুরাগীদের জন্য শেয়ার করেছিলেন তিনি। ক্যাপশনে বাংলায় লিখেছিলেন, ‘আমার সাধ, ধন্যবাদ মা’।
এবার পাশ্চাত্য ঢংয়ে বেবি শাওয়ারের আয়োজন হল বিপাশার জন্য। অভিনেত্রীর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু তাঁর জন্য বেবি শাওয়ারের ব্যবস্থা করেছিলেন। হালকা গোলাপি রঙের গাউনে সেজেছিলেন বিপাশা। গোলাপি ও হালকা বেগুনি থিমেই সেজেছিল পার্টি। বিপাশা করনের পেছনে একটি বোর্ডে লেখা ছিল ‘একটা ছোট্ট বাঁদর আসছে।’ দু দুটো কেক কেটে উদযাপন করতে দেখা যায় বিপাশা করনকে।
গত ১৬ অগাস্ট প্রেগনেন্সি ফটোশুট করে সুখবর শেয়ার করেন বিপাশা করন। অন্তঃসত্ত্বাকালীন ফটোশুটের থেকে দুটি ছবি শেয়ার করেছিলেন বিপাশা। একটি বড় সাদা শার্ট পরে ছিলেন অভিনেত্রী। শার্টের ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছিল স্ফীত বেবি বাম্প। সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরে পাশে দাঁড়িয়ে করন। এক হাত দিয়ে স্ত্রীর বেবি বাম্প ছুঁয়ে তিনি। দ্বিতীয় ছবিটিতে বেবি বাম্পে চুম্বন করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
ক্যাপশনে বিপাশা লিখেছিলেন, ‘নতুন সময়, নতুন আলো জুড়তে চলেছে জীবনের রামধনুতে। আমাদের আরো পরিপূর্ণ করে তুলতে চলেছে। আমরা আলাদা আলাদা ভাবে জীবন শুরু করেছিলাম। তারপর একে অপরের সঙ্গে পরিচয় হল। আমরা এক হলাম। মাত্র দুজনের জন্য এত ভালবাসা একটু অন্যায্য মনে হচ্ছিল। খুব শীঘ্রই আমরা দুই থেকে তিন হব।
আমাদের ভালবাসার ফসল, আমাদের সন্তান খুব শীঘ্রই আমাদের আনন্দে যোগ দেবে। আপনাদের নিঃশর্ত ভালবাসা, প্রার্থনা আর শুভেচ্ছার জন্য অনেক ধন্যবাদ। চিরদিন আমাদের সঙ্গে থাকবে। আমাদের জীবনের সঙ্গে জুড়ে থেকে আরো একটা জীবন শুরুর সাক্ষী হওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমাদের সন্তান দূর্গা দূর্গা।’