কীভাবে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতিতে নাম জড়াল তার? ফাঁস করলেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আদালতে একাধিক বার তিনি বলেছেন অত্যন্ত সাধারণ পরিবারের মেয়ে তিনি। এমনকি বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকাকালীন অর্পিতা (Arpita Mukherjee) একবারের জন্যও নাকি জামিন চাননি। গ্রেফতার হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে বার বার দাবি করেছেন, এই বিপুল টাকা তাঁর নয়। এখন প্রশ্ন হল এই টাকার পাহাড় তাহলে কার? এর উত্তরে আবার অর্পিতা রহস্যময় ভাবে বলেন, ‘সময় হলেই সব জানতে পারবেন।’

অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ছিল বিপুল পরিমাণ টাকা। তাঁর ফ্ল্যাটেও উদ্ধার হয়েছে বিরাট অংকের টাকা ও গয়না। এগুলি আদতে কার? ইডি আধিকারিকদের সেই প্রশ্নের উত্তর এবার দিলেন অর্পিতা। ১৭২ পাতার চার্জশিট পেশ হওয়ার পর সেই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।

ইডি চার্জশিটে উল্লেখ করেছে অর্পিতা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ব্যবহার করতে দেন। জানা যাচ্ছে, টাকা রাখতেই দেন তিনি। শুধু অ্যাকাউন্ট নয়, বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাট ও ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাটও টাকা এবং গয়না রাখার জন্য স্বেচ্ছায় দিয়েছিলেন অর্পিতা। প্রথমে জেরায় অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে জেলে গিয়ে জেরা করার সময় আধিকারিকদের কাছে এ কথা স্বীকারও করেন তিনি।

চার্জশিটে এসবই উল্লেখ করে ইডি আদালতে জানায়, ওই টাকা ও গয়না রাখা হয়েছিল পরবর্তীকালে সম্পত্তি কেনার পরিকল্পনা করে। জানা যাচ্ছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সমস্ত সম্পত্তিই নগদে কেনেন। আর এভাবেই ধীরে ধীরে নিয়োগ দুর্নীতির জালে জড়িয়ে পড়েন একদা অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সোনার বর্তমান বাজারে দাম এবং নগদ টাকা মিলিয়ে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে প্রায় সাড়ে ৫৪ কোটি উদ্ধার হয়েছে বলে জানায় ইডি।

অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা। সেই ফ্ল্যাটেই ছিল বেশ কিছু সোনার গয়নাও। প্রথম থেকেই তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করেছিলেন ওই বিপুল অর্থের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ইডি গ্রেফতার করার পর অর্পিতা দাবি করেন ওই টাকা মোটেই তাঁর নয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকদের অর্পিতা জানান, তিনি আগে ভয়ে ছিলেন যে তাঁর ও তাঁর মায়ের প্রাণহানি হতে পারে। সেই কারণে তিনি এই কথা আগে থেকে বলতে চাননি। তবে এবার জেরার মুখে আস্তে আস্তে সব কথাই স্বীকার করছেন অর্পিতা। এমনই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর