বাংলাহান্ট ডেস্ক: নব্বইয়ের দশকে সঙ্গীত জগতের রত্নস্বরূপ ছিলেন ফাল্গুনী পাঠক (Falguni Pathak)। মেরি চুনর চুনর উড় উড় যায়ে, ম্যায়নে পায়েল হ্যায় ছনকাই, চুড়ি, ও পিয়ার মতো একাধিক সুপারহিট গান তিনি উপহার দিয়েছিলেন শ্রোতাদের যা এত বছর পরেও প্রিয় হয়ে রয়েছে অনেকেরই। সেসব আইকনিক গানগুলি চোখের সামনে রিমেক বানিয়ে নষ্ট করে দিতে দেখলে শ্রোতাদের পাশাপাশি হতাশা জাগে ফাল্গুনীরও।
সম্প্রতি তাঁর অত্যন্ত হিট গান ‘ম্যায়নে পায়েল হ্যায় ছনকাই’কে রিমেক বানিয়ে ‘ও সজনা’ নাম দিয়ে গেয়েছেন নেহা কক্কর (Neha Kakkar)। টি সিরিজের ব্যানারে নব্বইয়ের আইকনিক গানটির আধুনিকীকরণ করা হয়েছে যা শ্রোতাদের সিংহ ভাগেরই পছন্দ হয়নি। এবার বিষয়টা নিয়ে মুখ খুললেন ফাল্গুনী পাঠক স্বয়ং।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের তীব্র প্রতিক্রিয়ার ঝলক আগেই দেখিয়েছিলেন ফাল্গুনী। সকলেই নেহার উপরে ক্ষুব্ধ, বিরক্ত। নিজের দমে গান বানাতে পারেন না। অন্যদের বানানো এবং গাওয়া সুন্দর গানগুলোর গুষ্টি উদ্ধার করে ছাড়ছেন! শ্রোতারা তুলোধনা করেছিলেন নেহাকে। এর আগে ফাল্গুনীর ‘চুড়ি’ গানটিরও রিমেক বানিয়ে ‘ইয়াদ পিয়া কি আনে লাগি’ নামে চালিয়েছিলেন নেহা। ফের একই কাণ্ড ঘটালেন তিনি।
নেহার এই কাজে মোটেই খুশি নন ফাল্গুনী। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “চারিদিক থেকে এই গানটার জন্য এত ভালবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত। চাই সবার প্রতিক্রিয়াগুলো শেয়ার করেছিলাম।” সাক্ষাৎকারে তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, তিনি কি নেহার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে চান? ফাল্গুনী উত্তর দেন, তিনি সত্যিই চান। কিন্তু উপায় নেই, কারণ তাঁর কাছে গানের আইনি স্বত্ব নেই।
প্রসঙ্গত, ফাল্গুনীর গাওয়া আসল গানটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৯ সালে। মিউজিক ভিডিওটিতে অভিনয় করেছিলেন ভিভান ভাটেনা এবং নিখিলা পালত। ছিলেন ফাল্গুনী নিজেও। সুপারহিট হয়েছিল গানটি। সেই গানের আসল সুর, কথা বজায় রেখে সঙ্গে উপরি কিছু কথা ঢুকিয়ে রিমেক বানিয়েছেন নেহা। শ্রোতারা ক্ষুব্ধ হলেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি নেহা।