বাংলাহান্ট ডেস্ক: মহালয়ার আগের দিন শহরে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। দূর্গাপুজোর প্রাক্কালে তিন দিনের সফরে বাংলায় এসেছেন তিনি। এসেই পড়েছেন বিতর্কের মুখে। উত্তর দিনাজপুরে সার্কিট হাউসে থাকতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। তবুও তার মধ্যেই বালুরঘাটে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দূর্গাপুজো উদ্বোধনে গিয়েছেন মিঠুন। তার আগে হেস্টিংসে বিজেপির প্রাক পুজো সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন মিঠুন।
এদিন সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে মহাগুরু বলেন, তিনি একজন ফাইটার। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে নয় বার নকআউট করেছে। শেষ যে পাঞ্চ মেরেছিলেন সেটা মনে থেকে যাবে। গোষ্ঠী কোন্দল না করে সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধিতে জোর দেওয়ার বার্তা দেন তিনি কর্মীদের। সমন্বয়ের অভাব থাকলে শাসক দলের বিরুদ্ধে লড়া যাবে না, মন্তব্য করেন মিঠুন।
আগের বার এসে তিনি বলে গিয়েছিলেন, তৃণমূলের ৩৮ জন বিধায়ক লুকিয়ে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তার মধ্যে থেকে ২১ জন সরাসরি তাঁর সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছেন। সে ব্যাপারে এদিন মিঠুনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “২১ থেকে কমেনি চটুকু বলতে পারি।” সঙ্গে তিনি আরো বলেন, “সুকান্তদা বলেছেন, পচা আলু নেব না। আমি বলছি, আমি এত বোকা নই যে একই ভুল আবার করব।”
ইডি সিবিআইয়ের মিলিত হানায় তৃণমূল কোণঠাসা। দলের নেতা মন্ত্রীদের কোটি কোটি টাকা সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যাচ্ছে। শ্লেষ মিশিয়ে মিঠুন বলেন, “আমি হতাশ। ৪৩ বছরের টেরিয়ার ২০০ কোটি টাকা চোখেও দেখিনি। কার কাছে টাকা পাওয়া গেল না না গেল তার জবাব তারাই দেবেন।”
পুজোর আগে বাংলায় এলেও কোনো বড় দূর্গাপুজোর উদ্বোধনে দেখা যায়নি মিঠুনকে। এমন কেন? মহাগুরু উত্তর দেন, আগের থেকে স্টারডম বেড়েছে। কিন্তু শরীরে আগের জোর নেই। তবে বালুরঘাটে পুজো উদ্বোধন করবেন তিনি। সজল ঘোষের লেবুতলা পার্কের পুজোতেও থাকবেন বলে জানিয়েছেন মিঠুন।
প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুরে সার্কিট হাউসে মিঠুনের থাকার বন্দোবস্ত হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অনুমতি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার হতাশা ও ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, সার্কিট হাউজে থাকতে দেওয়ার অনুমতি যারা দেন তারা শেষ মুহূর্তে জানান যে দেওয়া হবে না।
সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, বিনাশকালে এসব হয়। মিঠুনদাকে যারা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের তকমা দিতে চান তারা বাংলা ও বাঙালির সংষ্কৃতি, মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে বাঙালির যে আবেগ সেটাকে যেন না ভোলেন, বক্তব্য সুকান্ত মজুমদারের।
সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেন, মিঠুন চক্রবর্তী বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান। এতগুলো জাতীয় পু্রস্কার পেয়েছেন। সেই সঙ্গে উনি এক সময় রাজ্যসভার সাংসদও ছিলেন। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁর সঙ্গে যেটা করা হল সেটা অত্যন্ত লজ্জার এবং দূর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন সুকান্ত মজুমদার।