চীনে ৬ হাজারের বেশি বিমান বন্ধ করে দিলো পরিষেবা, থমকে রেলের চাকা! কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অদ্ভুত পরিস্থিতি চিনে (China)। বাতিল করা হচ্ছে একের পর এক আন্তর্জাতিক ও আন্তর্দেশীয় বিমান। কোনওভাবেই আর চিনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বিদেশিদের। ঠিক কী চলছে বেজিংয়ে (Beijing)? জানা নেই কারওর। তবে কি এবার সমস্ত বিরোধী কণ্ঠ মুছে দিতে চাইছে পিএলএ (PLA)? প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) পাশাপাশি সমস্ত কমিউনিস্ট নেতাকেই কি গ্রেফতার করা হচ্ছে? নাকি সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে চিনে শুরু হয়েছে গৃহযুদ্ধ? গণহারে বিমান বাতিল হওয়ায় এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে একাধিক জল্পনা। জানা যাচ্ছে, বেজিংয়ের পক্ষ থেকে ৬০ শতাংশেরও বেশি বিমান বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া বিমানের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার ৫৮৩। এর মধ্যে শুধু বেজিং থেকেই বাতিল করা হয়েছে প্রায় ৬২২টি বিমান। সাংহাই থেকে বাতিল হওয়া বিমানের সংখ্যা ৬৫২। সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে খবর, চিনের অধিকাংশ বিমানবন্দরের দখল নিয়ে নিয়েছে পিএলএ। যদিও সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে এখনও সরকারিভাবে কিছু ঘোষণা করেনি বেজিং।

রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় চিনে সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে বলে খবর চাউর হয়ে যায়। সেখানে বলা হশ, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে গৃহবন্দি করেছে সেনা। পাশাপাশি দেশের শাসন ক্ষমতা জেনারেল লি কোয়াওমিং দখল করেছেন বলেও খবর প্রকাশ্যে আসে। কয়েকদিন আগেই ‘সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন’ বা ‘এসসিও’-র বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে গিয়েছিলেন শি জিনপিং।

সোশ্যাল মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, সেখান থেকে দেশে ফেরার পরই তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ার এই খবর সত্যি হলে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার রাজনীতিতে বড় চমক এখনও অপেক্ষা করে রয়েছে। সূত্রের খবর, জিনপিংকে দেশের বাইরে যেতে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির তরফে বারণ করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও উজবেকিস্তানে গিয়েছিলেন তিনি।

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিনে এই সেনা অভ্যুত্থানের পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। হংকং সমস্যা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছেন জিনপিং। এছাড়া তাইওয়ানকে ঘিরে রেখেও তা কব্জা করতে পারেনি বেজিং। উলটে এসসিও-র থেকে ফিরে তাইওয়ান নিয়ে নরম মনোভাব দেখান জিনপিং। এছাড়াও দু’বছর ধরে লাদাখে আগ্রাসী মনোভাব দেখানোর পর সেখানকার অধিকাংশ সংঘর্ষবিন্দু থেকে সরে আসতে হয়েছে পিএলএ-কে। সেই কারণেই জিনপিং-কে সরিয়ে ক্ষমতা দখলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিনের সেনাবাহিনী। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর সত্যি হলে, নতুন করে লাদাখ এবং অরুণাচলে আগ্রাসী মনোভাব দেখাতে পারে বেজিং। পাশাপাশি, দক্ষিণ চিন সাগরে ফের উত্তেজনা বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর