বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট (Primary Tet) পরীক্ষার ১২ লক্ষ উত্তরপত্র বেপাত্তা! কোন রেকর্ড পর্যন্ত নেই। এদিন একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এহেন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে আসতেই তৎক্ষণাৎ সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, এদিন সিবিআই অফিসে হাজিরা দিতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya)।
পর্ষদের প্রাক্তন এই চেয়ারম্যানকে রাত ৮ টার সময় পর্যন্ত বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি। আদালত সূত্রে খবর, শুধুমাত্র সিবিআই দফতরে হাজিরাই নয়, একইসঙ্গে এদিন চাইলে সিবিআই তাদের হেফাজতে পর্যন্ত নিতে পারবে মানিক ভট্টাচার্যকে। হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে সর্বত্র।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে এসএসসির পাশাপাশি প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট নিয়েও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। এর মাঝেই এদিন একটি মামলার শুনানি চলাকালীন আইনজীবীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় ১২ লক্ষ উত্তর পত্র বেপাত্তা হয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীর তরফ থেকে জানানো হয়, “কোন রেকর্ড নেই।” আর এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে উঠে আসতেই তৎক্ষণাৎ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এক্ষেত্রে প্রায় ২১ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২ লক্ষ উত্তরপত্র কিভাবে হাওয়া হয়ে গেল কিংবা এর পিছনে কোন রহস্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখবে তদন্তকারী সংস্থা। উল্লেখ্য, মানিক ভট্টাচার্য গুরুত্বপূর্ণ একটি কমিটির প্রেসিডেন্ট পদে নিযুক্ত ছিলেন। এক্ষেত্রে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে একাধিক নয়া তথ্য উঠে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী, এদিন তদন্তে সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতা করতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে। যদি তা না হয়, তবে সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার পর্যন্ত করতে পারে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।