বাংলাহান্ট ডেস্ক : পুজোয় বোনাসের দাবিতে আন্দোলন চলছে ডিএসপি (DSP) কারখানায়। তবে বুধবার তা ভয়ংকর পর্যায় পৌঁছে যায়। জানা যাচ্ছে, এদিন ‘রক্তস্বাক্ষর’ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু। আইএনটিইউসি (INTUC)। সংগঠনের পক্ষ থেকে কারখানার গেটের সামনে শতাধিক কর্মী নিজেদের রক্ত দিয়ে সই করেন। অন্য দিকে, ডিএসপি-র অন্য শ্রমিক সংগঠনগুলিও কারখানার দু’নম্বর গেটের ভিতরে বিক্ষোভ দেখায়।
এ বার পূজায় এখনও বোনাস হাতে পাননি ডিএসপি-র কর্মীরা। এরই প্রতিবাদে সোমবার থেকে লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। মঙ্গলবার কারখানার সাতটি শ্রমিক সংগঠন সিটু, আইএনটিটিইউসি, আইএনটিইউসি, বিএমএস, এআইটিইউসি, এআইইউটিইউসি এবং এইচএমএসের নেতৃত্বে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে এই বিক্ষোভে যোগ দেন কারখানার কর্মীরাও। বুধবার অভিনব আন্দোলন শুরু করল আইএনটিইউসি। সংগঠনের নেতা রানা সরকার, দেবাশিস চৌধুরীদের দাবি, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে সেল। অথচ, পুজোর আগে বোনাস দেওয়ার বিষয়ে কোনও ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা নেই কর্তৃপক্ষের। তাই রক্তস্বাক্ষর করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, সকালে কারখানার গেটের সামনে আঙুলে সুচ ফুটিয়ে রক্তের বার করে আবেদনপত্রে লাগিয়ে দেওয়া হয়।
অপরদিকে, কারখানার দু’নম্বর গেটের ভিতরে আইএনটিইউসি-সহ সাতটি শ্রমিক সংগঠনের বিক্ষোভ শুরু করেন কারখানার কর্মীরা। সেখান থেকে মিছিল করে ইডি বিল্ডিংয়ে জড়ো করা হন তাঁরা। শ্রমিক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজ, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ইডি বিল্ডিংয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।
কত বোনাস দেওয়া হবে, শ্রমিক সংগঠন ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয়। কিন্তু সেই বৈঠকে ঐক্যমত হননি দুই পক্ষ। সেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১০ অক্টোবর, পুজোর পরে বোনাস নিয়ে বৈঠক করা হবে। শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি, তা হলে পুজোর আগে আর বোনাস হাতে পাওয়া যাবে না। এর পর থেকেই বিক্ষোভ শুরু করে সাতটি শ্রমিক সংগঠন। তাদের দাবি, ৪৫ হাজার টাকা বোনাস চাওয়া হয়েছে। এখনও কর্তৃপক্ষ কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করেনি।