সাড়ে চারশো বছরের পুরনো বাড়িতে ২০০ বছরের পুরনো পুজো! নিজের দেশের বাড়ির দূর্গাপুজোর গল্প করলেন অন্বেষা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বৃষ্টির ভ্রূকুটি উপেক্ষা করে মাতৃ আরাধনায় মেতেছে গোটা বাংলা। উত্তরের সাবেকি পুজো থেকে দক্ষিণের থিম, সর্বত্রই মণ্ডপে মণ্ডপে মানুষের ঢল। তেমনি বনেদি বাড়ির পুজোর প্রতিও একটা আলাদা টান থাকে সবার। টলিপাড়ার একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীর বাড়িতেও পুজো হয়। তাঁদের মধ‍্যে অন‍্যতম অন্বেষা হাজরা (Annwesha Hazra)।

জি বাংলার ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ সিরিয়ালে নায়িকা ঊর্মির ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। পুজোর কয়েকটা দিন তাঁকে পাওয়া যায় না সেটে। কারণ তাঁর নিজের বাড়িতেই পুজো হয়। অন্বেষাদের মেমারির বাড়ির থেকেও বেশ খানিকটা ভেতরে তাঁদের ধানখেউরের গ্রামের বাড়ি। সেখানে আগে জমিদারি ছিল অভিনেত্রীর পরিবারের।

Annwesha hazra
এক সংবাদ মাধ‍্যমকে অন্বেষা জানান, সাড়ে ৪০০ বছরের পুরনো বাড়িতে দূর্গাপুজো ২০০ বছরের পুরনো। এত বছরের পুরনো পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেক স্মৃতি, লোককথা। অন্বেষা জানান, তাঁদের বাড়ির পুজো শুরু হয়েছিল স্বপ্নাদেশ পেয়ে। অভিনেত্রীর দাদুর বড়পিসিমার বয়স যখন মাত্র ৫ বছর, তখনি নাকি তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন।

একদিন সকালে উঠে মাত্র পাঁচ বছরের মেয়ে বলে দিয়েছিলেন দূর্গাপুজোয় কী কী লাগে, এমনকি প্রতিমা কোথায় বসবে তাও। স্বাভাবিক ভাবেই শুনে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন সকলে। দূর্গাপুজো শুরু হলেও তা হয় বৈষ্ণব মতে, শাক্ত মতে নয়। সপ্তমী ও নবমীতে মাছ দেওয়া হয় ভোগে, কিন্তু মাংস থাকে না। অষ্টমীতে হয় সম্পূর্ণ নিরামিষ ভোগ। নবমীতে নারকেল, কলার মতো বিভিন্ন ফল বলির প্রথা আছে। এছাড়াও অন্বেষা জানান, তাঁদের বাড়ির পুজোয় অন্নভোগ নয়, লুচিভোগ হয়।

Annwesha
মেমারির পাশাপাশি ধানখেউরের গ্রামে অন্বেষাদের বাড়ি রয়েছে। প্রথমটি ২০০ বছর পুরনো। দ্বিতীয়টি প্রায় ৪৫০ বছরের পুরনো। অন্বেষা জানান, ইংরেজদের বানানো ম‍্যাপে তাঁদের মেমারির বাড়ির উল্লেখ রয়েছে। বাড়ির কুলদেবতা গোপালের ইতিহাসও প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো। দূর্গাপুজোর সময়ে কুলদেবতাকেও রাখা হয় সঙ্গে।

এই পুজো উপলক্ষেই ভাইবোনরা সবাই একসঙ্গে হন। তাই পুজো আসলেই মনটা গ্রামের বাড়ির দিকে ছুটে যায় অন্বেষার। কলকাতায় পুজো কাটান না তিনি। তবে এখন কাজের ব‍্যস্ততা থাকায় দেশের বাড়ির পুজোয় বেশি সময় দিতে পারেন না অন্বেষা।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর