বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার দেশের বেকারত্ব, খাদ্যাভাব ও মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে নিজের মতামত সামনে এনেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি (Nitan Gadkari)। তিনি জানিয়েছেন যে, “আমরা মাতৃভূমিকে সুখী, সমৃদ্ধ এবং শক্তিশালী করতে চাই।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “দেশ ধনী হয়েছে কিন্তু মানুষ এখনও গরিব। তাই দেশের উন্নয়নের জন্য কোন পথে এগোতে হবে তা নিয়ে ভাবতে হবে।”
একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি জানান, “আমাদের দেশ ধনী কিন্তু মানুষ দরিদ্র। এমনকি আজও ভারতের মানুষ ক্ষুধা, দারিদ্র, মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বে ভুগছে। ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। তা সত্বেও দেশের জনসংখ্যা ক্ষুধা, দারিদ্র, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, জাতিভেদ ও অস্পৃশ্যতার সম্মুখীন হচ্ছে। যা দেশের অগ্রগতির জন্য শুভ নয়।”
গড়করি আরও বলেছিলেন যে, দেশে দরিদ্র এবং ধনীর মধ্যে গভীর ব্যবধান রয়েছে। যা দূর করা দরকার এবং সমাজের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমতা তৈরি করা উচিত। সমাজের এই দু’টি অংশের মধ্যে বিস্তৃত ব্যবধান অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং সামাজিক বৈষম্যের দিকে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, “আমাদের সমাজে দু’টি বিশেষ শ্রেণির মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। যার কারণে সামাজিক বৈষম্য যেমন বেড়েছে, তেমনি অর্থনৈতিক বৈষম্যও বেড়েছে। আমাদের দেশে ১২৪ টি এমন জেলা রয়েছে, যেগুলি আর্থ-সামাজিক ও শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে রয়েছে। সেগুলিতে স্কুল নেই, হাসপাতাল নেই, যুবকদের চাকরি নেই এবং গ্রামে যাতায়াতের ক্ষেত্রে পথও নেই। এছাড়াও, কৃষকরা তাঁদের ফসলের সঠিক দাম পাচ্ছেন না।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান, “আমাদের দেশে, আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শহরাঞ্চলে কাজ করি। তাই সেখানে বেশি উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু ১৯৪৭ সালে মোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ গ্রামীণ এলাকায় বাস করত। এখন ২৫ থেকে ৩০ শতাংশের মাইগ্রেশন হয়েছে। এই লোকেরা গ্রাম ছেড়ে বড় শহর যেমন দিল্লি, কলকাতা, মুম্বাই এবং চেন্নাইতে চলে গেছেন। গ্রামে সুশিক্ষা, কর্মসংস্থান নেই বলে তাঁরা কার্যত বাধ্য হয়ে গ্রাম ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। যার কারণে শহরেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাই, ভারতের উন্নয়নের প্রসঙ্গে আমাদের গুরুত্ব সহকারে ভাবতে হবে।”